রাজ্যে ঝড়ের আবহের মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত নিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নতুন ও শূন্যপদ মিলিয়ে ১০০টি পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত রাজ্যের তরফে নেওয়া হয়েছে (Mamata Banerjee)। স্বাস্থ্য দফতরের ১৮টি নতুন পদ ও ১৬টি শূন্যপদে চিকিৎসক সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (Mamata Banerjee)। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র দফতরে ‘কর্মবন্ধু’ প্রকল্পে ৫৭ জনকে নেওয়া হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর(Mamata Banerjee)।
বৃহস্পতিবার নবান্নে বৈঠক হয়। সেখানে কৃষিক্ষেত্র নিয়েও আলোচনা হয়। ষিকাজে ব্যয় করার জন্য রাজ্য কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্ককে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। নাবার্ড ও রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে এই ঋণ নেবে কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্ক। গ্যারান্টার থাকবে রাজ্য সরকার।
জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরে ৬৬০ মেগাওয়াটের সুপার ক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরিতে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নিউটাউনে ফিনান্সিয়াল হাবে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে প্রায় সাড়ে ৩ একর জমি লিজে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার নবান্নে বৈঠকের সময় একাধিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঝড়ের আবহে বৈঠক করা হয়। সেই সময় একাধিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঝড়ের বিষয়ে আলোচনা হয়। ঘূর্ণিঝড় দানা মোকবিলা করতে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৃহস্পতিবার। যদিও ঘূর্ণিঝড় দানার ল্যান্ডফল ওড়িশার ধামরা ও ভিতরকনিকার মধ্যবর্তী কোনও উপকূলীয় অঞ্চল ছিল। কিন্তু বাংলা উপত্যকায় তার বড় প্রভাব পড়বে বলে আবহাওয়া দফতরের তরফে আশঙ্কা করা হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে ত্রাণ শিবির খোলা থেকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল রাজ্যের তরফে।
প্রসঙ্গত, মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১০ মিনিটে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সেই প্রক্রিয়া চলেছে। সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মৌসম ভবন জানিয়েছিল, দানা-র টেইল বা লেজের অংশ এখন স্থলভাগে প্রবেশ করছে। ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে আরও ঘন্টা দুয়েক লাগবে। এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাত থেকেই ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে প্রকৃতির তাণ্ডব। তীব্র ঝোড়ো হাওয়া, সেই সঙ্গে অবিরাম বৃষ্টি।