বার বার তৃণমূলের (TMC) অভ্যন্তরে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও একাধিক দাবি উঠতে শুরু করেছিল। তারমধ্যে ২৫ নভেম্বর তৃণমূলের (TMC) কর্মসমিতির বৈঠক নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মুখপাত্রদের তালিকা থেকে একাধিক নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, যাদের বাদ দেওয়া হয়েছে, তাদের (TMC) অনেকেই অভিষেক ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এবার বড় ঘোষণা করলেন (TMC) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, দল (TMC) এবার থেকে তিনিই দেখবেন।
সোমবার বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি সাফ বলে দেন, “দল আমি আর বক্সীদাই দেখব।” এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন, তিনিই দলের শেষ কথা। দলের সুপ্রিমো হওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন করে এই বক্তব্য পেশ করতে হলো, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, দলের ছাত্র ও যুব সংগঠন তিনি নিজে হাতে সাজাবেন। একসময় দলের সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন মুকুল রায়। বছর কয়েক আগে সেই পদ পান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে দলের ‘দ্বিতীয় ব্যক্তি’ হিসেবে সামলাচ্ছিলেন অভিষেক। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় নবীন ও প্রবীণ দ্বন্দ্ব বার বার প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের অস্বস্তি যে বাড়ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
২৫ নভেম্বর কর্মবিরতির বৈঠকে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কালীঘাটের বৈঠকে পুরনো নেতাদের আধিক্য দেখতে পাওয়া যায়। দায়িত্ব বাড়তে থাকে প্রবীণ নেতাদের। সেই নিয়ে মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি বলেন, দলের অভ্যন্তরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনঠাসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে হুমায়ুন কবীরকে শোকজ নোটিশও পাঠানো হয়।