নতুন বছরে প্রথম প্রশাসনিক সভায় প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোন গেল শিক্ষা স্তরে সেমিস্টার চালু হচ্ছে তা তিনি জানতেনই না । তাঁকে না জানিয়ে কি করে এই ব্যবস্থা চালু করা হল! একটা শিশু সেমিস্টার দেবে কি করে ! বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনা মুখে পড়েন (Mamata Reprimands Bratya) শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এদিন নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন প্রাথমিকে সেমিস্টার বিষয়টি তার কাছে অজানা ছিল। এমনকি বিষয়টি জানতেন না মুখ্যসচিব। ব্রাত্যকে মুখ্যমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী হয়ে যখন কোনো নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হয় দয়া করে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন তিনি চান বাচ্চাদের পড়াশোনার ভার কমাতে। শিশুদের পড়াশোনার ভার এখন অনেকটাই বেশি । টুইংকেল টুইংকেল লিটল স্টার বলতে পারে না। তারা বলবে সেমিস্টার! কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা এই বিষয়ে অভ্যস্ত। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয় তা অনেকটাই অসুবিধাজনক। বিদ্যালয় তাই সেমিস্টার প্রথা থাকবে না এ কথা সাফ জানান মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন কোন ব্যবস্থা নিলে সংবাদমাধ্যমে সে বার্তা যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করা প্রয়োজন তাও তিনি স্পষ্ট করেন।
এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বিষয়টি আমি নিজে দেখে মুখ্যসচিবকে জানিয়েছি। আপনি অনুমতি দিলে তবেই বিজ্ঞপ্তি হবে। তবে সেই কথা আলোচনা হওয়ার আগে কি করে প্রকাশ্যে চলে এলো তা নিয়ে অবাক মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি প্রাথমিক স্তরে পরীক্ষা পদ্ধতিতে বড়সড় বদলের ঘোষণা করে পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছিল, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বছরে দু’টি করে সেমিস্টার হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করার কথা জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আগে যেখানে বছরে একটি পরীক্ষা হতো তা বদলে এবার বছরে দু’বার করে পরীক্ষা হবে। দুটি সেমিস্টারের প্রথমটি হবে ৪০ নম্বরের, পরেরটি হবে ৬০ নম্বরের।