মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং বুধবার বিধানসভায় জানিয়েছেন যে ২০২৩ সালের মে মাস থেকে রাজ্যে চলমান হিংসার (Manipur Violence) কারণে ২২৬ জন মারা গেছেন এবং ৩৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন, এবং ৫৯,৪১৪ জন (মঙ্গলবার পর্যন্ত) ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন। হিংসার ঘটনায় ১১.১৩৩টি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে এবং বিভিন্ন থানায় ১১,৮৯২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংকটের মোকাবিলায় রাজ্য সরকার বাস্তুচ্যুত জনগণকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ৩০২টি ত্রাণ শিবির স্থাপন করেছে।
কংগ্রেস বিধায়ক কে মেঘচন্দ্রের এক প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৫,৫৫৪ জন কৃষকের কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত (Manipur Violence) হয়েছে, যা তাদের জীবিকা ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। কৃষি ক্ষতির স্বীকৃতিস্বরূপ, ফসল ক্ষতিপূরণ বাবদ ক্ষতিগ্রস্ত ৩,৪৮৩ জন কৃষককে ১৮.৯১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। স্থায়ী আবাস যোজনার আওতায় ৭৯৮ জন সুবিধাভোগীকে পাকা বাড়ি বানানোর জন্য ২১.৬৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, যাদের বাড়িঘর পুড়ে গেছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই ২,৭৯২টি পরিবারকে অন্তর্বর্তীকালীন ত্রাণ হিসেবে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
বীরেন শাহ বিধানসভায় বলেন, ত্রাণ শিবির এবং বন্দিদের (Manipur Violence) জেলাভিত্তিক বিবরণ দেওয়া যাবে না, কারণ তথ্যটি সংবেদনশীল প্রকৃতির এবং বর্তমান সঙ্কটের উপর সম্ভাব্য প্রভাব ফেলতে পারে। প্রধান সহায়তার মধ্যে রয়েছে ত্রাণ শিবির নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য এককালীন সহায়তা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিবিরের বাসিন্দাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, গদি, বিছানা, বাসনপত্র, থার্মোস ফ্লাস্ক, জল ও বিদ্যুতের মতো দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করা হচ্ছে।