২০২৩ সালের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে শুরু হওয়া মণিপুরের হিংসা (Manipur Violence) ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। দুই বছর ধরে রাজ্যে শান্তির অনেক দাবি করা হচ্ছে কিন্তু সেই দাবি বেশি দিন টিকতে পারেনি। দুই বছর ধরে মণিপুরে অস্থিরতা চলছে। হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ আপডেটে, মণিপুরের পরিস্থিতি আবারও খারাপ হচ্ছে।
মণিপুরে মেইতেই সংগঠনের এক নেতা এবং আরও চারজনের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ (Manipur Violence) অব্যাহত রয়েছে। রবিবার রাতে বিক্ষোভকারীরা নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন (Manipur Violence) করে, মশাল মিছিল করে, একটি সরকারি ভবনে আগুন দেয় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, পুলিশ জানিয়েছে। ইম্ফল পশ্চিম জেলার কোয়াকেইথেল এবং সিংজামেই এলাকায় বিক্ষোভকারী এবং নিরাপত্তা কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, যার পর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে এবং রাবার বুলেট ছোড়ে।
ইম্ফল পূর্ব জেলার ইয়ারিপোক তুলিহালে অবস্থিত সাব-ডিভিশনাল কালেক্টর (এসডিসি) অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে, যার ফলে ভবনটি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সরকারি নথিপত্র পুড়ে গেছে। পুলিশ অগ্নিসংযোগকারীদের শনাক্ত করার জন্য তদন্ত শুরু করেছে এবং আরও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা (Manipur Violence) এড়াতে এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, কর্মকর্তা জানান। নিরাপত্তা বাহিনীর চলাচলে বাধা দেওয়ার জন্য ইম্ফল পশ্চিম জেলার সেকমাই এবং কোইরেঙ্গি এলাকায় বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় কাদা ফেলে।
ইম্ফল পূর্ব জেলার ওয়াংখেই, ইয়ারিপোক এবং খুরাইতে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় টায়ার পোড়ায় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে (Manipur Violence) লিপ্ত হয়, যার পর পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। আজ সকালে ইম্ফলের অনেক এলাকায় রাস্তায় পোড়া টায়ার এবং ধোঁয়া দেখা গেছে।
