প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা তথা নাট্যকার মনোজ মিত্র (Manoj Mitra)। মঙ্গলবার সকালে তিনি (Manoj Mintra) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর (Manoj Mitra) বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছিলেন। কয়েকদিন আগে তাঁর (Manoj Mitra) শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সল্টলেকের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেই সময় তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।
প্রসঙ্গত, ২৩ সেপ্টেম্বর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সেই সময় তাঁর মেয়ে ময়ূরী মিত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, হার্ট ঠিক করে কাজ করছে না। ওষুধের সাপোর্টে তাঁকে রাখা হয়েছে। সেই সময় মনোজ মিত্রের মৃত্যুর গুজব সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে সেই গুজবকে মিথ্যা প্রমাণিত করে তিনি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। কিছু দিন আগেই মনোজ মিত্রের ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। অভিনেতা-অভিনেত্রীরা মনোজ মিত্রকে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
১৯৩৮ সালের ২২ ডিসেম্বর অভিভুক্ত বাংলার খুলনা জেলার সাতক্ষীরা মহকুমায় ধুলিহর গ্রামে তাঁর জন্ম হয়। অভিনেতার বাবা অশোককুমার মিত্র এবং মা ছিলেন রাধারাণী মিত্র। স্বাধীনতার সময় তাঁরা কলকাতা চলে আসেন। কলকাতার স্কটিশচার্চ কলেজ থেকে পড়াশোনা করেন। তিনি অধ্যপনা ও নাটক সমান্তরালভাবে করে যেতে চাইতেন। কিন্তু সেই সময় তাঁর বাবা চাইতেন না, ছেলে নাটকের সঙ্গে যুক্ত থাকুক।
নিজের ইচ্ছাকেই গুরুত্ব দিয়েছিলেন অভিনেতা মনোজ মিত্র। তিনি অধ্যাপনা ও নাটক, দুই দিকই সমান্তরালভাবে সামলান। তাঁর নাটকের দলের নাম ‘ঋতায়ন’। তিনি একাধিক নাটকের নির্দেশনার দায়িত্বে থাকতেন। ‘অবসন্ন প্রজাপতি’, ‘নীলা’, ‘মৃত্যুর চোখে জল’, ‘সিংহদ্বার’, ‘ফেরা’-সহ আরও অনেক নাটকের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। তাঁকে বহু বাংলা সিনেমাতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। খল-চরিত্রে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। মনোজ মিত্র অভিনীত কিছু উল্লেখযোগ্য সিনেমা হল, ‘বাঞ্ছারামের বাগান’, ‘শত্রু’, ‘তিন মূর্তি’, ‘দামু’ প্রমুখ। তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েক নাট্য বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ২০০৩ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। তারপর থেকে তিনি সম্পূর্ণ মনযোগ অভিনয়ে, নির্দেশনাতে, নিজের নাটকের গ্রুপকে দেন।