MEA on China new County: ‘অবৈধ দখল গ্রহণযোগ্য নয়’, লাদাখে নতুন কাউন্টি ঘোষণায় চিনকে ভারতের কড়া বার্তা

ভারত ও চিনের মধ্যে এলএসি সমস্যা অমীমাংর পথে এগোচ্ছিল, কিন্তু এরই মধ্যে ব্যাঘাত ঘটাল চিন। চিন লাদাখের কিছু অংশকে তাদের নিজস্ব অঞ্চল (MEA on China new County) বলে দাবি করেছে। এই ইস্যুতে চিনের কড়া সমালোচনা করেছে বিদেশমন্ত্রক।

বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে যে চিন তার হোতান প্রদেশে দুটি নতুন কাউন্টি (MEA on China new County) ঘোষণা করেছে যা লাদাখের অংশ। চিনের কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমরা চিনের হোতান প্রদেশে দুটি নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ঘোষণা দেখেছি। এই তথাকথিত কাউন্টিগুলির এখতিয়ারের কিছু অংশ ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের মধ্যে পড়ে।”

জয়সওয়াল বলেন, লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনের অবৈধ দখলদারিত্ব (MEA on China new County) ভারত কখনও মেনে নেয়নি। জয়সওয়াল বলেন, ‘নতুন কাউন্টি গঠন এই অঞ্চলে আমাদের সার্বভৌমত্বের বিষয়ে ভারতের দীর্ঘস্থায়ী ও ধারাবাহিক অবস্থানকে প্রভাবিত করবে না, বা চিনের অবৈধ ও জোরপূর্বক দখলকে বৈধতা দেবে না। আমরা কূটনৈতিক মাধ্যমে চিনা পক্ষের কাছে গুরুতর প্রতিবাদ জানিয়েছি।’

চিন বিশ্বের দীর্ঘতম বাঁধ নির্মাণ করছে

চিন তিব্বতের এলাকায় বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণ করছে। বাঁধটি ইয়ারলুং সাংপো নদীর উপর নির্মিত হবে। এই নদীটি পরে ভারতের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নামে এবং বাংলাদেশে এটি যমুনা নদী নামে প্রবাহিত হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরাও বাঁধ প্রকল্প নিয়ে বেশ কিছু উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “ইয়ারলুং সাংপো নদীতে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সম্পর্কে ২০২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর সিনহুয়ার প্রকাশিত তথ্য আমরা দেখেছি। ভারত এই নদী থেকে নিম্নমুখী জল পায় এবং আমরা এটি ব্যবহার করি, তাই আমরা ক্রমাগত চিনা পক্ষের কাছে বিশেষজ্ঞ-স্তরের পাশাপাশি কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের অঞ্চলে (MEA on China new County) নদীগুলির মেগা প্রকল্পগুলির বিষয়ে আমাদের মতামত এবং উদ্বেগগুলি জানিয়েছি। সর্বশেষ প্রতিবেদনের পর, নিম্নমুখী দেশগুলির সঙ্গে স্বচ্ছতা ও পরামর্শের প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি এগুলির পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের নিম্নমুখী রাজ্যগুলির স্বার্থ যাতে উজান অঞ্চলে কার্যকলাপের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য চীনা পক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। আমরা আমাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখব।”