কোপা আমেরিকায় অংশ নিতে এই মুহূর্তে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন মেসি। শিরোপা ধরে রাখতে কঠোর অনুশীলনে ব্যস্ত আকাশী-সাদা জার্সিধারীরা। সেখানে এক ইউটিউব প্রোগ্রামে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। সাধারণত মেসি এ সকল অনুষ্ঠান এড়িয়ে চললেও, ‘রেডি টু ডু এনিথিং’ নামের এই অনুষ্ঠানে খোলামেলাভাবে জীবনের বিশেষ কিছু অধ্যায় নিয়ে মুখ খুলেছেন মেসি (Messi-Roccuzzo Romance)। কারণ, এই অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন মেসিরই সহোদর মাতিয়াসের ছেলে টমাস মেসি।
ভাইপো টমাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি শুরুতেও জানিয়েছেন সঙ্গীকে নিয়ে তিনি কোনও ধরনের ঈর্ষায় ভোগেন কিনা। তিনি বলেন, এখন না, তবে আগের ব্যাপারে হ্যাঁ, যখন আমার বয়স কম ছিল। একটা সময় ছিল, কিন্তু সেটা এখন নেই। আমি বেশ ঈর্ষাপরায়ণ ছিলাম যখন আমি বাচ্চা , যখন প্রথম প্রথম আমরা প্রেম শুরু করলাম। তারপর আর নেই।
এই প্রেমের সূচনা যখন শিশু মেসি নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজ ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলা সবে শুরু করেছেন। আন্তনেলার কাজিন লুকাসও একজন ফুটবলার ছিলেন। তার সঙ্গে গভীর বন্ধুত্ব ছিল মেসির। আর লুকাসের মাধ্যমেই রকুজ্জোর সঙ্গে পরিচয় ঘটে তার। মেসি বলেন, আমি তার (আন্তনেলা) বাড়িতে যেতাম এবং সেখানে তার সঙ্গে দেখা করতাম, একদম ছোটবেলা থেকেই। আমি তাকে সবসময়ই পছন্দ করতাম। সে সময় ব্যাপারটাকে সে বন্ধুত্বের চেয়ে একটু বেশি কিছুই বলত। পরে, ১৩ বছর বয়সে, আমি স্পেনে চলে যাই এবং কোনোভাবে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।‘যোগাযোগের রাস্তা সেইসব দিনে এখনকার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন ছিল। চিঠি, ইমেইল কিংবা ল্যান্ডলাইনে কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যেত, যা অনেক ব্যয়বহুল ছিল। তাই আমরা কথা বলা বন্ধ করে দিই, আমরা পৃথকভাবে বড় হয়ে উঠি। লুকাসের বেলাতেও এমনটাই, শুধু যে তার (আন্তনেলা) বেলাতেই এমন নয়।’
পরবর্তীতে কীভাবে আবার তাদের সম্পর্কটা জমে ওঠে তা নিয়ে এই কিংবদন্তি ফুটবলার বলেন, ১৬ কিংবা ১৭ বছর বয়সে আমরা আবারও সাক্ষাৎ করি, ম্যাসেঞ্জার থাকায় যোগাযোগ তখন সহজ হয়ে এসেছে, আমরা সেখানে চ্যাট করতাম। আমরা ফের কাছাকাছি আসি, আমরা শৈশবের সেই অনুভূতিটা হারিয়ে ফেলিনি, কিছুই যেন বদলায়নি। ১৯, ২০ বছর বয়স হতে হতে আমরা ডেট করা শুরু করে দিয়েছি।
এরপর দীর্ঘদিনের প্রেমকে পরিণতি দিতে ২০১৭ সালে প্রেমিকা আন্তনেলা রকুজ্জোর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন লিওনেল মেসি। তাদের বিয়ে রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। দীর্ঘ সময়েও মেসি-রকুজ্জোর দাম্পত্যজীবনে কোন কলহের খবর কিংবা তৃতীয় ব্যক্তির আগমনের কথা শোনা যায়নি। তাদের ঘরে আছে তিন সন্তান থিয়াগো, মাতেও ও চিরো।