বুধবার ভারত তার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার (Missile Defence System) দ্বিতীয় পর্যায়ের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এই সময়, ৫ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম এমন মিসাইলকে প্রতিরোধকারী দেশীয় প্রযুক্তির সফল পরীক্ষা (Missile Defence System) করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ফ্লাইট টেস্টের সময় সমস্ত লক্ষ্য শতভাগ অর্জন করা সম্ভব হয়, যা পুরো নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক যুদ্ধাস্ত্র ব্যবস্থাকে বৈধতা দিয়েছে।
ওড়িশার চাঁদিপুরে ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ (আইটিআর)-এ এই পরীক্ষাটি (Missile Defence System) অনুষ্ঠিত হয়। সফল পরীক্ষার জন্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ডিআরডিও-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই পরীক্ষা আরও একবার ভারতের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ডিফেন্স করার ক্ষমতাকে (Missile Defence System) প্রদর্শন করেছে। মন্ত্রক জানিয়েছে, “২৪শে জুলাই বালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দ্বিতীয় পর্যায়ের সফলভাবে পরীক্ষা করে ডিআরডিও।”
ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে পরীক্ষা করা হয়?
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, শত্রু পক্ষের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রোটোটাইপ হিসাবে লক্ষ্য ক্ষেপণাস্ত্রটি বিকেল ০৪.২০ টায় চালু করা হয়েছিল, যা স্থল ও সমুদ্রে মোতায়েন অস্ত্র সিস্টেম রাডার দ্বারা সনাক্ত করা হয়েছিল এবং ‘ইন্টারসেপ্টর’ সিস্টেমটি সক্রিয় করা হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে, এডি এন্ডো-বায়ুমণ্ডলীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি (Missile Defence System) আইটিআর, চাঁদিপুরের এলসি-৩ থেকে বিকেল ৪টা ২৪ মিনিটে নিক্ষেপ করা হয়।
দ্বিতীয় পর্যায়ের আন্তঃ বায়ুমণ্ডলীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি দেশীয়ভাবে তৈরি দ্বি-পর্যায়ের কঠিন জ্বালানী চালিত এবং স্থল-চালিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। এর লক্ষ্য হল নিম্ন বাইরের বায়ুমণ্ডল অঞ্চলের উচ্চ-উচ্চতার অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের শত্রু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকিকে নিষ্ক্রিয় করা।
এক্সো-বায়ুমণ্ডলীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলি (Missile Defence System) পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরের অঞ্চলে মিশন চালাতে সক্ষম, অন্যদিকে আন্তঃ-বায়ুমণ্ডলীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে কাজ করে এবং ১০০ কিলোমিটারেরও কম উচ্চতায় লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, বিশেষজ্ঞরা বলেছেন।
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে রক্ষা করার ক্ষমতা
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছে, “ফ্লাইট টেস্টে সমস্ত পরীক্ষার(Missile Defence System) উদ্দেশ্য পূরণ করেছে, যার ফলে দীর্ঘ পরিসীমা সেন্সর, লো লেটেন্সি যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং উন্নত ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র সমন্বিত একটি সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক কেন্দ্রিক যুদ্ধ অস্ত্র ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, “এই পরীক্ষাটি ৫০০০ কিলোমিটার দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার জন্য দেশের দেশীয় সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে।”
এতে বলা হয়েছে, ‘চাঁদিপুরের আইটিআর-এর কাছ থেকে পাওয়া ফ্লাইট ডেটা থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটির কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল, যেমন ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সিস্টেম, রাডার এবং টেলিমেট্রি সেন্টারগুলি জাহাজের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছিল।তিনি বলেন, ‘ভারত পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলীয় সীমানার ভিতরে ও বাইরে শত্রুর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে প্রতিহত করার সক্ষমতা তৈরি করছে।