কাজ থেকে ফেরার সময় নিখোঁজ (Missing Nurse) হয়ে যান মুর্শিদাবাদের এক নার্স। তিন দিন পর ভাগিরথী নদী থেকে তাঁর পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়। অস্বাভাবিক মৃত্যুর (Missing Nurse) মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর থানা।
আরজি করে তরুণী চিকিৎসক খুনে উত্তাল রাজ্য। তারমধ্যেই এক নার্সের (Missing Nurse)পচাগলা দেহ উদ্ধার নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, ওই নার্স বহরমপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করতেন। বহরুমপুরে একটি মেসে থাকতেন। জানা গিয়েছে, হাসপাতাল থেকে ফেরার সময় তিনি তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। রাত্রি ১০টার পর আর তাঁর সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। পরিবার সূত্রে খরব, সেই তিনি ওই নার্স (Missing Nurse) মেসেও ফেরেননি।
এরপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। বহরমপুর থানার পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে ভাগিরথী নদীর ধারে এক জোড়া জুতো খুঁজে পায়। এরমধ্যেই এক ব্যক্তি থানায় ফোন করে, এক মহিলাকে ভাগিরথী নদীতে ঝাঁপ দিতে তিনি দেখেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও এক যুবতীকে ওই সেতুতে উঠতে দেখে। এরপরেই ভাগিরথী নদী থেকে ওই নার্সের দেহ উদ্ধার করা হয়। বেসরকারি হাসপাতালের ম্যানেজার বলেন, ম্যানেজার শ্যাম অধিকারী বলেন, ‘৪ তারিখে ডিউটিতে এসেছিল। নার্সিং হোমের তরফে যে সিসিটিভি ফুটেজ দেওয়ার সব দিয়েছি…জানি না কেন ঘটল।’
ওই নার্সের মৃত্যু নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পরিবার। প্রশ্ন উঠছে, সেদিন ভগিরথী নদীর ব্রিজে যাকে উঠতে দেখা গিয়েছিল, তিনি কি ওই নার্স? পুলিশকে ফোন করে ঝাঁপ দেওয়ার কথা বলল কে? ওই নার্স কি তবে আত্মহত্যা করেছেন? নার্সের মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ নেই তো, এখন এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।