নয়াদিল্লি: আজমীরে অবস্থিত ১৩ শতকের সুফি সাধক খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির উরস উপলক্ষে ১০ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi Chadar at Ajmer Court) একটি চাদর পাঠিয়েছেন। কিন্তু বিষয়টি এখন আদালত পর্যন্ত পৌঁছেছে। হিন্দু সেনার সভাপতি বিষ্ণু গুপ্তা দরগায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চাদর দেওয়ার ওপর (Modi Chadar at Ajmer Court) নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন। আজমিরের একটি আদালতে এই আবেদন করা হয়েছে।
বিষ্ণু গুপ্ত এর আগে দাবি করেছিলেন যে আজমির শরীফ দরগায় একটি শিব মন্দির ছিল। আজমির আদালতে তার আবেদনের মামলা বিচারাধীন। আবেদনে দরগাহ সমীক্ষার দাবি জানানো হয়েছে।
লাইভ ল-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিষ্ণু গুপ্ত বিচারাধীন মামলায় চাদর নিষিদ্ধ (Modi Chadar at Ajmer Court) করার আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি এখনো আদালতে বিচারাধীন। কিন্তু বিতর্কিত কাঠামোর ওপর একটি শিট পাঠিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং ন্যায্য বিচারের অধিকারকে দুর্বল করেছে।
দরগাহ উরসে প্রথম শুক্রবারের নামাজ পড়া হয়
খাজা মঈনুদ্দিন হাসান চিশতীর দরগায় ৮১৩তম বার্ষিক ওরস উপলক্ষে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী শুক্রবার প্রথম জুমার নামাজ আদায় করেন। দরগাহ শাহজাহানী মসজিদ থেকে দরগা বাজার, কেয়াদ বিশ্রামস্থল ও ঈদগাহ মাঠ পর্যন্ত মুসল্লিদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
নামাজকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নামাজের আগে আজমির রেঞ্জের (Modi Chadar at Ajmer Court)পুলিশের মহাপরিদর্শক ওম প্রকাশ নিজে দরগায় অবস্থিত ধানের বাজারে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, উরস উপলক্ষে দরগায় আগত লাখো পুণ্যার্থীর নিরাপত্তায় পাঁচ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সিসিটিভি ও ড্রোনের মাধ্যমে প্রতিটি কোণ-কোণে নজরদারি করা হচ্ছে।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর চাদর নিয়ে আসবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
পুলিশ সুপার বন্দিতা রানাও শুক্রবার দরগাহ পরিদর্শন করেন এবং ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। শনিবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চাদর নিয়ে (Modi Chadar at Ajmer Court) আজমীর পৌঁছবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। কায়দের বিশ্রামস্থলে নির্মিত অস্থায়ী মসজিদের ভিতরে ও বাইরে মুসল্লিদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এখানে মাওলানা জাকির হোসেন ভক্তদের নামাজ পড়ান।
প্রধানমন্ত্রীর বেডশিট পাঠানোকে স্বাগত জানিয়েছে আঞ্জুমান
আঞ্জুমানের সেক্রেটারি সারওয়ার চিশতী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিকে চাদরের আগমনকে আঞ্জুমান স্বাগত জানায়। জওহরলাল নেহেরুও ১৯৪৭ সাল থেকে দরগা শরীফে চাদর(Modi Chadar at Ajmer Court) পাঠাতেন। তিনি বলেন, আঞ্জুমানের পক্ষ থেকে সবাইকে স্বাগতম। দশ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী পাঠাচ্ছেন। দরগার আধ্যাত্মিক আচারগুলি সরাসরি দেখানোর বিষয়ে এখনও পরামর্শ নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে বিরোধিতা রয়েছে।