Modi-Trump: ‘ট্রাম্পের সঙ্গে কীভাবে ডিল করতে হয়, পিএম মোদীর থেকে শিখুন’, কেন একথা বললেন অভিজ্ঞ মার্কিন সাংবাদিক?

দুদিনের মার্কিন সফর শেষে ভারতে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সফরে তিনি বেশ কয়েকটি সমঝোতা চুক্তি (Modi-Trump) সেরে এসেছেন। মোদীর সফরকালে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দুই দেশ আগামী পাঁচ বছরে একে অপরের সঙ্গে বাণিজ্য দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুরু করা শুল্ক যুদ্ধের ভয়ের বাতাবরণের মধ্যে আশঙ্কায় ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই চুক্তিগুলি অবশ্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে, যেদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর সফরের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছিলেন, সেদিনই ট্রাম্প ‘যেমনকে তেমন’ ভিত্তিতে শুল্ক আরোপের আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন। অর্থাৎ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য দেশের উপর একই শুল্ক আরোপ করবে যেমনটি তারা মার্কিন পণ্যের উপর আরোপ করে। এটি ট্রাম্প প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত মোদী ও ট্রাম্পের (Modi-Trump) মধ্যে বৈঠককে তিক্ত করে তুলতে পারে, কিন্তু সেই ধরনের কিছুই দেখা যায়নি।

প্রধানমন্ত্রী মোদী উষ্ণভাবে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ট্রাম্প প্রশাসনও তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায়। হোয়াইট হাউসে এই দুই নেতার বন্ধনকে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক হিসাবে দেখা হয়েছিল, যে কারণে মার্কিন গণমাধ্যমেও প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসা করা হচ্ছে। মার্কিন সাংবাদিকরা বলেন, শুল্ক যুদ্ধের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের (Modi-Trump) ধরন ও প্রস্তুতি সত্যিই আকর্ষণীয় ছিল। একজন প্রবীণ মার্কিন সাংবাদিক এও বলেন যে ট্রাম্পের সাথে কীভাবে ডিল করতে হয় তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছ থেকে শেখা উচিত।

সিএনএন-এর সিনিয়র সাংবাদিক উইল রিপলি বলেন, ‘প্রথমে আমরা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবাকে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেখেছি, যা ভালো ছিল, এবং এখন আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দেখতে পাচ্ছি, যিনি ট্রাম্পের সঙ্গে খুব ইতিবাচক উপায়ে সাক্ষাৎ করেছেন। রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের সাথে কীভাবে মোকাবিলা করা যায় সে সম্পর্কে বিশ্বজুড়ে অন্যান্য নেতাদের জন্য এটি একটি মাস্টারক্লাস।’

তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানতেন যে তাঁকে কী করতে হবে। এই সাক্ষাৎ (Modi-Trump) আরও খারাপ হতে পারত। যেদিন ট্রাম্প নতুন শুল্কের কথা ঘোষণা করেন, সেদিনই প্রধানমন্ত্রী মোদী ওয়াশিংটন ডিসিতে ছিলেন। বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কার মধ্যেই দুই দেশ কিছু ভালো বাণিজ্য, জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে এগিয়ে গেছে।

উইল রিপলি প্রধানমন্ত্রী মোদীর স্লোগান ‘MAGA+MIGA= MEGA’-এরও প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন যে ট্রাম্প এই ধরণের জিনিস শুনতে পছন্দ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী MAGA অর্থাৎ ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ এবং MIGA অর্থাৎ ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট এগেইন’-এর সমন্বয়ে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে একটি মেগা অংশীদারিত্বের কথা বলেছিলেন।