প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার নিউইয়র্কে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভোলোদিমির জেলেনস্কির (Modi-Zelensky) সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। এক মাসের মধ্যে এটি ছিল দুই নেতার মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর তিন দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদী বেশ কয়েকটি হাই-প্রোফাইল অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে শনিবার উইলমিংটনে কোয়াড নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন অন্তর্ভুক্ত ছিল।
Met President @ZelenskyyUa in New York. We are committed to implementing the outcomes of my visit to Ukraine last month to strengthen bilateral relations. Reiterated India’s support for early resolution of the conflict in Ukraine and restoration of peace and stability. pic.twitter.com/YRGelX1Gl5
— Narendra Modi (@narendramodi) September 23, 2024
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির (Modi-Zelensky) সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে মোদী লিখেছেন, ‘নিউইয়র্কে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেছি। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে গত মাসে আমাদের ইউক্রেন সফরের ফলাফল বাস্তবায়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইউক্রেনের সংঘাতের দ্রুত সমাধান এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য ভারতের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি বলেন, ‘গত তিন মাসের মধ্যে সম্ভবত এটি দুই নেতার মধ্যে তৃতীয় বৈঠক। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলির পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভোলোদিমির জেলেনস্কিও ভারতের প্রশংসা করেছেন।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী ২৩শে আগস্ট ইউক্রেন (Modi-Zelensky) সফর করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী ইউক্রেন সংঘাতে দ্রুত শান্তির প্রত্যাবর্তনের জন্য সম্ভাব্য সমস্ত উপায়ে অবদান রাখার জন্য ভারতের ইচ্ছার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী মোদী ইউক্রেন সফর করেন, যা ১৯৯২ সালে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ইউক্রেন সফর।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর জেলেনস্কি বলেছেন, “এই বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Modi-Zelensky) সঙ্গে এটি ছিল তৃতীয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। আমরা সক্রিয়ভাবে আমাদের সম্পর্ক উন্নয়ন করছি এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করছি। আমাদের আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল আন্তর্জাতিক মঞ্চে, বিশেষ করে জাতিসংঘ ও জি-২০-তে আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করা, পাশাপাশি শান্তি সূত্র বাস্তবায়িত করা এবং দ্বিতীয় শান্তি শীর্ষ সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। আমাদের সার্বভৌমত্বের দ্ব্যর্থহীন সমর্থনের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। “