রাজ্যের সামাজিক প্রকল্পগুলিতে দলীয় রঙ দেখে সুবিধা দেওয়া হয়—এই অভিযোগ বিরোধীরা বহুদিন ধরে করে আসছেন (Banglar Bari)। কিন্তু বর্ধমানের আউশগ্রামে এবং বারাসত-২ নম্বর ব্লকের দাদপুর গ্রামের সাম্প্রতিক ঘটনা (Banglar Bari) সেই অভিযোগকে কার্যত খারিজ করে দিল। বাংলার বাড়ি (Banglar Bari) প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে, যা নিয়ে (Banglar Bari) নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
বর্ধমানের আউশগ্রামে বিজেপি কর্মীদের টাকা প্রাপ্তি
দু’দিন আগেই বর্ধমানের আউশগ্রামে বিজেপির ২০টি পরিবার বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা পেয়েছে। তারা নিজেরাই তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কাছে আবেদন করেছিলেন। এই ঘটনা বিজেপির অভিযোগকে একপ্রকার নস্যাৎ করেছে।
দাদপুরে সিপিএম-আইএসএফ কর্মীদের খুশির খবর
সোমবার বারাসত-২ নম্বর ব্লকের দাদপুর গ্রামের পকদাহ এলাকায় সিপিএম ও আইএসএফ কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা। এই গ্রামে ১০০ জনেরও বেশি উপভোক্তা এই প্রকল্পের টাকা পেয়েছেন। সিপিএম ও আইএসএফ কর্মীরা আগেই অভিযোগ করেছিলেন যে, ত্রিপলের ছাউনি দেওয়া বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তারা প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এবার তারা টাকা পাওয়ায় খুশি এবং অভিযোগের মিথ্যতা প্রমাণিত হয়েছে।
বিরোধীদের অবস্থান
বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করেছে যে, রাজ্য সরকারের প্রকল্পে রাজনৈতিক বৈষম্য করা হয়। তবে আউশগ্রামে বিজেপি কর্মীদের প্রকল্পের টাকা পাওয়া এবং দাদপুরে সিপিএম-আইএসএফ কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ার পরও তারা এ বিষয়ে চুপ। একই সঙ্গে রাজ্যের তৃণমূল নেতারা দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছে।
পঞ্চায়েতের বক্তব্য
দাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আবদুল হাই জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, তিনি সবার মুখ্যমন্ত্রী—যাঁরা তাঁকে ভোট দিয়েছেন এবং যাঁরা দেননি। তিনি কখনও বৈষম্য করেন না। আবদুল হাই বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই বলেছি যে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে কোনও কাটমানি নেওয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চায়েতে জানান। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।”
মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় বলে আসছেন যে, রাজ্যের সামাজিক প্রকল্পগুলিতে দলমত নির্বিশেষে সবাই সুবিধা পাবেন। আউশগ্রাম এবং দাদপুরের ঘটনা সেই বার্তাকে আরও প্রতিষ্ঠিত করেছে। বিরোধীদের অভিযোগ সত্ত্বেও বাংলার বাড়ি প্রকল্পে দলীয় রঙের প্রভাব নেই—এই ঘটনাগুলি সেটাই প্রমাণ করেছে। তবে প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও সঠিক বাস্তবায়ন নিয়ে আরও নজরদারির দাবি উঠছে।