এবার নিজের মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে (Barrackpore)। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ব্যারাকপুরে (Barrackpore) ঘটেছে। টিটিগড় থানার পুলিশ ইতিমধ্যে বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মাকে গ্রেফতার করেছে (Barrackpore)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, পুজোর ছুটি থাকায় মেয়ে স্কুল যায়নি। বাড়িতেই ছিল। এদিন বাবাও অফিস যাননি। দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পরে মা কবিতা ঘোষ ১১ বছরের মেয়েকে নিয়ে একটি ঘরে শুতে যান। বাবা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ পাশের ঘরে শুতে যান। বিকেলে ঘুম থেকে উঠে দেখেন স্ত্রীর ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। বার বার দরজা ধাক্কা দেওয়ার পরও স্ত্রী সাড়া দিচ্ছিলেন না। ইন্দ্রজিৎ ঘোষ আশঙ্কা করেন, কোনও অঘটন ঘটে যেতে পারে। তিনি প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন। এরপরে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করলে দেখতে পান, মেয়ের নিথর দেহ বিছানায় শোয়ানো রয়েছে। পাশে মাথায় হাত দিয়ে বসে রয়েছেন মা। মেয়েকে নিয়ে দ্রুত ইন্দ্রজিৎ বাবু স্থানীয় হাসপাতালে যান। সেখানে চিকিৎসকরা কিশোরীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ইন্দ্রজিৎ বাবু ঘটনার প্রেক্ষিতে তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। টিটাগড় থানার পুলিশ ইন্দ্রজিৎ বাবুর বাড়ি থেকে কবিতা ঘোষকে গ্রেফতার করে। তাঁকে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে মনে করছে কিশোরীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। বাড়িতে আর কেউ না থাকায় মায়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠছে। এই প্রেক্ষিতে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই কিশোরীর মা মানসিকভাবে অসুস্থ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বারাকপুরের পুরপ্রধান উত্তম দাস। তিনি বলেন, মায়ের বিরুদ্ধেই মেয়েকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। এর থেকে দুর্ভাগ্যজনক আর কী হতে পারে। কীভাবে হল? কেন মা তাঁর নিজের মেয়েকে খুন করল, পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। ঘটনায় শোকের ছায়া আনন্দপুরীর ডি রোড এলাকায়। কিশোরীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরেই নির্দিষ্ট করে বলা যাবে, কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।