Muda Scam: ইডির বিশাল পদক্ষেপ, বাজেয়াপ্ত ১০০ কোটি টাকার ৯২টি সম্পত্তি , মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধেও অভিযোগ

৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি, মুখোশধারীদের মাধ্যমে অপরাধের আয় থেকে অর্জিত সম্পদ জব্দ

নয়াদিল্লি: মহীশুর নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (Muda Scam)-এর জমি বরাদ্দে বিশাল আকারের এক কেলেঙ্কারির ঘটনায় এবার সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কেন্দ্রীয় সংস্থাটি সম্প্রতি ১০০ কোটি টাকা মূল্যের ৯২টি সম্পত্তি অস্থায়ীভাবে বাজেয়াপ্ত করেছে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় কর্ণাটকের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ারও জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে, যা রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

ইডি জানিয়েছে, এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যা অপরাধের আয় (proceeds of crime) থেকে অর্জিত হয়েছে। সংস্থাটি আরও উল্লেখ করেছে যে, বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তিগুলি হাউজিং কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং মুডা কর্মকর্তাদের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিদের “মুখোশ” বা “ডামি” হিসেবে কাজ করা ব্যক্তিদের নামে নিবন্ধিত ছিল। এই “মুখোশ” ব্যক্তিরা কাগজে-কলমে সম্পত্তির মালিক হলেও, এর প্রকৃত সুবিধাভোগী ছিলেন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা, যারা নিজেদের পরিচয় গোপন রাখার জন্য অন্যদের নামে সম্পত্তি নথিভুক্ত করিয়েছিলেন।

সোমবার এই ক্রোকের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ইডি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, কর্ণাটকের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং অন্যদের বিরুদ্ধে মহীশূরের লোকায়ুক্ত পুলিশ দায়ের করা একটি এফআইআরের ভিত্তিতে এই তদন্ত শুরু করা হয়েছিল।

ইডির তদন্তে উঠে এসেছে যে, মুডা জমি বরাদ্দে বিভিন্ন আইন এবং সরকারি আদেশ লঙ্ঘন করে একটি সুপরিকল্পিত এবং বিশাল আকারের কেলেঙ্কারি সংঘটিত হয়েছে। এই দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ অবৈধভাবে হস্তগত করা হয়েছে এবং সেই অর্থ দিয়ে বিভিন্ন সম্পত্তি কেনা হয়েছে।

ইডি-র এই বড় পদক্ষেপ দুর্নীতি দমন এবং কালো টাকা উদ্ধারে সরকারের দৃঢ় প্রতিজ্ঞার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই তদন্তের পরবর্তী ধাপগুলি এবং এর চূড়ান্ত পরিণতি কী হয়, এখন সেটাই দেখার বিষয়।