সামনেই দীপাবলি। সেই দীপাবলিতে শেয়ারবাজার বন্ধ থাকলেও কিছুক্ষণের জন্য খোলা হয় (Muhurat Trading) লেনদেন। সেই লেনদেনে প্রচুর বিনিয়োগ হয়। এই লেনদেন মুহুরত ট্রেডিং (Muhurat Trading) হিসেবে পরিচিত ছিল। মাত্র এক ঘণ্টা চলে মুহুরত ট্রেডিং (Muhurat Trading)। আর সেই এক ঘণ্টার মুহুরত ট্রেডিংয়ে নানা ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মাথা ঠান্ডা করে এই পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করতে হবে। মুহুরত ট্রেডিংয়ের সময় হঠাৎ করেই নানা ধরনে গুজব তৈরি হয়। সেই গুজবে কান দিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। হঠাৎ করেই বাজার অস্থির হয়ে পড়ে। এই সময় মাথা ঠান্ডা রেখে বিনিয়োগ করতে হবে।
বিশেষজ্ঞ কপিল শাহ বলে বলেছেন, মুহুরত ট্রেডিংয়ের সময় ২৪,৯০০ পয়েন্টের নীচে নেমে যাতে পারে নিফটি ৫০। কারণ হিসেবে তিনি জানান, ভারতের প্রধান শেয়ার সূচক নিফটি ৫০ আগামী দিনগুলোতে বেশ কিছুটা নামতে পারে। আর তারই প্রভাব দীপাবলির মুহুরত ট্রেডিংয়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই কারণে তিনি বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি তাদের পোর্টফলিওয়ের ওপর নজর রাখতে বলেছেন।
তবে মুহুরত ট্রেডিংয়ের সময় বাজারের আচরণ সাধারণত ইতিবাচক হয়। ক্রয় করার মনোভাব বৃদ্ধি পায় যা দীপাবলির আশাবাদী এবং উদযাপনের মেজাজকে প্রতিফলিত করে। বিনিয়োগকারীরা প্রায়ই উচ্চ-মানের স্টক কেনেন, কারণ এগুলি দীর্ঘমেয়াদে ভাল রিটার্ন দেবে বলে আশা করা হয়। যদিও ট্রেডিং ভলিউম নিয়মিত ট্রেডিং দিনের তুলনায় কম হয়। ইতিবাচক মনোভাব শেয়ারের দামে একটি সংক্ষিপ্ত উত্থান ঘটাতে পারে, একটি উৎসবমুখর বাজারের পরিবেশ তৈরি করে।
সামগ্রিকভাবে, মুহুরত ট্রেডিং ঐতিহ্যগত ভারতীয় সংস্কৃতি এবং আধুনিক অর্থের মধ্যে একটি সেতু হিসাবে কাজ করে, বিনিয়োগের অনুশীলনের সাথে দীপাবলির রীতিনীতিকে একত্রিত করে, এইভাবে বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ইতিবাচক, শুভ নোটে বছর শুরু করার একটি মুহূর্ত তৈরি করে। এটি পরিবারের সদস্যদের জন্য, তরুণ প্রজন্ম সহ, স্টক মার্কেট সম্পর্কে জানার একটি চমৎকার সুযোগ, এটি একটি স্বাস্থ্যকর আর্থিক ঐতিহ্য তৈরি করে৷