বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে সীমান্ত নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে (Murshidabad)। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের চারটি জেলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএসএফ (Murshidabad)। তারমধ্যে অন্যতম মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা এই অঞ্চলের বেশ খানিকটা অঞ্চলে নেই কাঁটাতার (Murshidabad)। সেই মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে এসটিএফ দুই ব্যক্তিকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তি জামাত-উল-মুজাহিদিনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অনুমান এসটিএফের (Murshidabad)।
জানা গিয়েছে, অসম পুলিশ পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে বুধবার রাতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। বহড়ান এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি অভিযান থেকে বেশ কিছু ইসলামপন্থী বই উদ্ধার করা হয়েছে। বেশ কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গ্রেফতার হওয়া দুই জনের মধ্যে একজন বহড়ান এলাকার বাসিন্দা আব্বাস শেখ ও দ্বিতীয়জন কেদারতলার বাসিন্দা মিনারুল শেখ। পুলিশের তরফে অনুমান করা হচ্ছে, জামাত উল মুজাহিদিন তথা জেএমবি-র লিঙ্কম্যান হিসেবে কাজ করতেন অভিযুক্তরা। অসম পুলিশ অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেছে। আব্বাস শেখকেও পুলিশ আগে পাসপোর্ট কাণ্ডে গ্রেফতা করেছিলেন।
অন্যদিকে, বাংলাদেশে উত্তেজনার পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার রাতেই মুর্শিদাবাদ থেকে এক যুবককে বাংলার পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। মঙ্গলবার রাতে সুতি থানার ছাবঘাটি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা এক বাংলাদেশী যুবক। ধৃত যুবকের নাম মহম্মদ মেহেদি। ধৃত যুবক বাংলাদেশের চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা। কী উদ্দেশ্য নিয়ে এবং কীভাবে ওই যুবক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অন্যদিকে, কয়েক দিন আগেই কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন, মুর্শিদাবাদে ৭০ শতাংশ মানুষ মুসলিম। কোন দিন হয়তো বাংলাদেশ মুর্শিদাবাদ ও মালদাকে নিজেদের বিস্তৃত অঞ্চল বলে দাবি করবে। এমনিতেও ভারতের স্বাধীনতার দুদিন পর মুর্শিদাবাদ স্বাধীন হয়েছিল বা বাংলাদেশের অংশ হয়েছিল। একই ঘটনা মালদার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মালদাতেও মুসলিমদের সংখ্যা নেহাৎ কম নয়।