পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রে (Fake Passport) একের পর এক বড় চাঁইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে (Fake Passport) আনন্দপুর পাসপোর্ট অফিসের সামনে কংগ্রেস বিক্ষোভ দেখায়। কংগ্রেসের তরফে দাবি তোলা হয়, অবিলম্বে পাসপোর্ট জালিয়াতির (Fake Passport) বড় মাথাকে গ্রেফতার করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে পাসপোর্ট (Fake Passport) জালিয়াতি কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
পাসপোর্ট জালিয়াতির কাণ্ডে ধীরেন ঘোষ নামের এক ব্যক্তিকে চাকদা থেকে ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, “ইতালিতে থাকাকালীন বাংলাদেশে যোগাযোগ ধীরেনের। ইতালিতে রেস্তোরাঁয় চাকরি করত ধৃত ধীরেন ঘোষ। ইতালির রেস্তোরাঁয় কয়েকজন বাংলাদেশির সঙ্গে ধীরেনের পরিচয়। ইতালি থেকে কেউ বাংলাদেশ যেতে চাইলে সাহায্য় করত ধীরেন। বাংলাদেশি নাগরিকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল ধীরেনের। ভিসারও ব্যবস্থা করে দিত ধৃত ধীরেন ঘোষ। ২০১৭ সালে ভারতে ফিরে মনোজ ও সমরেশের সঙ্গে ধীরেনের পরিচয়। মনোজ ও সমরেশের সঙ্গে পরিচয়ের পরই এজেন্ট হিসেবে কাজ শুরু ধীরেনের।”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই জাল পাসপোর্টকাণ্ডের তদন্তে নেমে কলকাতা লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেহালা থেকে দীপঙ্কর দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তাঁকে জেরা করেই পুলিশ জানতে পারে, দীপঙ্কর মনোজ গুপ্ত নামের এক ব্যক্তির অধীনে কাজ করতো। মনোজ গুপ্তের বেহালার শখের বাজারে একটি ট্রাভেল এজেন্সির অফিস রয়েছে। সেই অফিসের আড়ালেই অবৈধ বাংলাদেশি শরণার্থীদের মোটা অঙ্কের বিনিময়ে জাল নথি দিত। এরপরেই পুলিশ মনোজ গুপ্তের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। পুলিশ আশঙ্কা করে, মনোজ গুপ্ত দেশ ছেড়ে পালাতে পারে। মনোজ গুপ্ত যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, তার জন্য পুলিশ একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। মনোজ গুপ্তের দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা ছিল। শনিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার চাঁদপাড়ায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে মনোজ গুপ্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বাংলাদেশিদের কাছ থেকে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে প্রথমে তাদের আধার, প্যান কার্ড বানাতেন অভিযুক্ত। এরপরেই অভিযুক্ত বাংলাদেশিদের ভোটার লিস্টে নাম তোলা হতো। তারপর বাংলাদেশীদের ভুয়ো ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্টের আবেদন করা হতো। সঙ্গে সঙ্গে আপলোড করা হতো ভুয়ো নথি। পাসপোর্ট ডাকের মাধ্যমে ছাড়া হলে পোস্ট অফিসের কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজস করে তা হাতিয়ে নিত তারা। বাংলাদেশিদের কাছ থেকে একটি পাসপোর্টের জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাবি করত তারা।