সমস্ত হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের স্বাস্থ্যাকর্তাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করতে চলেছেন (Nabanna)। বৃহস্পতিবার নবান্নে (Nabanna) এই বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে (Nabanna) হাসপাতালের সিভিল-ইলেক্ট্রিক্যাল, আইটি আধিকারিকদেরও থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের জেরে হাসপাতাল সংক্রান্ত একাধিক সিদ্ধান্ত নবান্ন (Nabanna) নিয়েছে। সেই সংক্রান্ত আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। রোগী পরিষেবা থেকে হাসপাতালের পরিকাঠামোর কী হাল? কতটা এগিয়েছে রাত্তিরের সাথী প্রকল্পের কাজ? এমন একাধিক বিষয়ে বৃহস্পতিবার নবান্নে আলোচনা হওয়ার কথা। প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধরনা চলাকালীন মুখ্যসচিব মনোজ পান্থ রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি দেন। সেখানে হাসপাতালে অন ডিউটি রুম, শৌচালয়, সিসিটিভি, পানীয় জলের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে বলা হয়।অবসরপ্রাপ্ত IPS ও রাজ্যের প্রাক্তন DG সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সিকিউরিটি অডিটের জন্য নির্বাচিত করা হয়। এই চিঠির পর স্বাস্থ্যভবনের সামনে থেকে ধরনা তুলে নেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শুধু তাই নয়, জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি তুলে আংশিকভাবে কাজে যোগ দেন।
জুনিয়র চিকিৎসকরা সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে থ্রেট কালাচারের বিরোধিতা করেন। তাঁরা এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার দাবি তোলেন। সেই দাবি অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারীদের বয়ান নিচ্ছে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ বলে জানা গিয়েছে। আরজি করের বিশেষ তদন্ত কমিটির কাছে ৫৯ জনের বিরুদ্ধে এই সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযুক্তরা সকলেই ইন্টার্ন, হাউসস্টাফ, পিজিটি কিংবা MBBS পড়ুয়া বলে খবর। জানা গিয়েছে, শনিবার এই বিষয়ে এক দফা শুনানি হয়। সেখানে ১০ জনকে ডাকা হয়। মঙ্গলবার আরও এক দফা শুনানি হয়। সেখানে আরও ১২ জনকে ডাকা হয়। যে অভিযোগকারীরা সামনে এসে অভিযোগ জানাতে চাইছেন, তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয়। অভিযুক্ত, অভিযোগকারী এবং সাক্ষীদের বক্তব্য ভিডিও রেকর্ডিং করে রাখা হচ্ছে। শুক্রবার পর্যন্ত বয়ান রেকর্ড পর্ব চলে বলে জানা গিয়েছে।