কর্মবিরতিতে থাকা চিকিৎসকদের যোগ দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, আগামীকাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে যোগ না দিলে শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। সোমবার নবান্ন (Nabanna) থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান করেন জুনিয়র চিকিৎসকদের। এরপরেই (Navanna) মুখ্যসচিব জানান, কাজে যোগ না দিলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে?
মুখ্যমন্ত্রীর পর নবান্ন (Nabanna) থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজপন্থ, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, ডিজি রাজীব কুমার, সিপি বিনীত গোয়েল, এডিজি সাউথ বেঙ্গল সুপ্রতীম সরকার ও আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট যে কথা বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীও একই কথা বলেছেন। আমাদেরও একই অনুরোধ। সকলে কাজে যোগ দিন।”তিনি বলেন, হাসপাতালগুলোর জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দ্রুত পরিষেবা পাওয়া যাবে। সাধারণ মানুষকে যাঁরা পরিষেবা দেন, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের প্রধান লক্ষ্য।” হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে মন্তব্য করেন মনোজ পন্থ। তিনি বলেন, “হাসপাতালের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হচ্ছে। প্রয়োজনে নিরাপত্তার দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।” এই প্রসঙ্গে ডিজি রাজীব কুমার সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, পুলিশবাহিনী হাসপাতালে নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত। এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। হাসপাতালের নিজস্ব সিকিউরিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হবে।
যদি পাঁচটার মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে না ফেরেন প্রশ্ন করা হলে (Nabanna) মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বলেন, যদির কথা ভেবে লাভ নেই। আমরা বিশ্বাস করি জুনিয়র চিকিৎসকরা অবশ্যই কাজে ফিরবেন।
নবান্নে সাংবাদিক প্রশ্ন করে পুলিশের প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পুলিশের ভূমিকার সন্তুষ্ট। পুলিশের রক্ত ঝরেছে। কিন্তু কারও রক্ত ঝরতে দেয়নি। পাশাপাশি তিনি বলেন, সিপি সাত দিন আগে তাঁর কাছে পদত্যাগ করতে এসেছিলেন। তিনি সিপিকে পদত্যাগ করতে দেননি।