সদ্য উপনির্বাচনে বিজয়ী বিধায়কদের শপথগ্রহণ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল বিতর্কের মধ্যে ফের রাজ্যের ৬ কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ঢঙ্কা বাজতে শুরু করেছে। মনে করা হচ্ছে দিন কয়েকের মধ্যে এই ছয় কেন্দ্রে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দেবে নির্বাচন কমিশন। ছয় কেন্দ্রের মধ্যে ৫টি তৃণমূলের দখলে ছিল ২০২১ সালের ভোটে। একমাত্র মাদারিহাট কেন্দ্রে বিজেপি জিতেছিল। আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনের কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম হল নৈহাটি (Naihati By Election)। এই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। গত লোকসভা নির্বাচনে তিনি ব্যারাকপুরের প্রার্থী হয়ে জিতে সাংসদ হয়েছেন।
নৈহাটি বিধানসভার উপনির্বাচনে (Naihati By Election ) তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে এই মুহূর্তে একাধিক নামের কথা বাতাসে ভাসছে। এরা হলেন, তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ ডাক্তার শান্তনু সেন এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।
গত লোকসভা নির্বাচনের জন্য ব্রিগেড থেকে তৃণমূলের প্রার্থীপদ ঘোষণার পর সেই তালিকায় নিজের নাম না থাকায় ঘনিষ্ঠ মহলের পাশাপাশি মিডিয়ার কাছেও নিজের অসন্তোষ চাপা রাখেননি শান্তনু বাবু। তাকে এবার নৈহাটি কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে প্রার্থী করা হতেও পারে। প্রার্থী করা হতে পারে প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও
তবে নৈহাটি তৃণমূলের একটা বড় অংশের দাবি, প্রার্থী করা হোক নৈহাটির কোনও ভূমিপুত্রকেই। সেক্ষেত্রে, নৈহাটির পার্থ ঘনিষ্ঠ এক নেতার নামও বাতাসে ভাসছে। তাছাড়া, তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যও নৈহাটির ভূমিপুত্র এবং পার্থ ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। তাই তাকেও প্রার্থী করতে পারে দল। এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় সামনে চলে আসছে।
গত প্রায় চার বছর ধরে তৃণমূলের যুব সভাপতির দায়িত্ব সামলানো সায়নী ঘোষ বর্তমানে লোকসভার সাংসদ হয়েছেন। যাদবপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের সাংসদ তিনি। বাকপটু সায়নীকে বর্তমানে সংসদে আরও বেশি করে কাজে লাগাতে চাইছে দল। সূত্রের খবর, এবার যুব সভাপতি পদে নতুন মুখ আসতে চলেছে। সেক্ষেত্রে, দুই ভট্টাচার্য পদবির যুব নেতার নাম চর্চায় উঠে আসছে।
তবে দেবাংশু ও তৃণাঙ্কুর দুজনেই এই পদের অন্যতম দাবিদার। যদিও, তৃণাঙ্কুর নৈহাটির ভূমিপুত্র হওয়ার পাশাপাশি পার্থ ভৌমিকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। আর পার্থ যে, অভিষেকের ঘনিষ্ঠ তা কে না জানে। তাই, সেইদিক থেকে তৃণাঙ্কুরকে কিছুটা এগিয়ে রাখা যেতে পারে। এদিকে পার্থ ঘনিষ্ঠ নৈহাটির যে নেতার কথা শোনা যাচ্ছে, পার্থর সমর্থন সেই নেতার দিকে থাকবে, নাকি তৃণাঙ্কুরকে এগিয়ে দেবেন তিনি, তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।