আগামী ১৩ নভেম্বর বাংলার নৈহাটি সহ ছয় বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন (Naihati By Election) । প্রতিটি কেন্দ্রে (Naihati By Election) তৃণমূল (TMC), বিজেপি (BJP), কংগ্রেস ও সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে। উপনির্বাচন কেন্দ্রগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো জোর কদমে প্রচার শুরু করেছেন। বাদ নেই নৈহাটিও।
নৈহাটি (Naihati By Election) কেন্দ্রে বিজেপির (BJP) প্রার্থী হয়েছেন রূপক মিত্র ও তৃণমূলের(TMC) প্রার্থী হয়েছেন সনৎ দে। সেখানেও জোর কদমে প্রচার শুরু চলছে। বিজেপি (BJP) প্রার্থীর হয়ে নৈহাটির সাহেব কলোনী বাজারে প্রচারে (Naihati By Election)এসেছিলেন দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি তীব্র ভাষায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। কড়া সমালোচনা করেন মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহামেডান ক্লাবের প্রধানকে।
মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহামেডানের প্রধান নৈহাটির উপনির্বাচনের (Naihati By Election) প্রার্থী সনৎ দে-কে সমর্থন করেছেন। নৈহাটির উপনির্বাচনের প্রচারে এসে দিলীপ ঘোষ তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। তিনি বলেন, “আমি জানি না, তৃণমূল প্রার্থী কতবড় খেলোয়াড়, যাঁকে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহামেডান ক্লাবের প্রধান সমর্থন করেছেন। কিন্তু মাত্রা আড়াই-দুই মাস আগের ঘটনা, যখন ডার্বি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। হাজার হাজার মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের (TMC) সরকার সেটা বন্ধ করেছিল। কারণ পুলিশ ভয় পেয়েছিল, যদি ফুটবলপ্রেমীরা উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান দেন। তাঁরা সেখানেই বিক্ষোভ দেখান মিছিল করেন। টিভিতে আপনারা সবাই দেখেছেন। তাঁরা কারা ছিল? ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের সাপোর্টাররা ছিল। তাঁরা ইস্টবেঙ্গল মোহন বাগানের পতাকা নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁরা কোনও দাবি করেননি, তাঁরা জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কেন ডার্বি বন্ধ করা হল? তাঁরা ফুটবল দেখতে চেয়েছিলেন। যাঁরা ফুটবলটা ভালোবাসেন, রাজ্যে যাঁরা ফুটবলটা বাঁচিয়ে রেখেছেন, তাঁদের পুলিশ লাঠিপেটা করেছিল। তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের সমর্থক ছিলেন না। তাঁরা শুধু ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান দলের সমর্থক ছিলেন। এখন যে সমস্ত ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের সমর্থক তৃণমূলকে (TMC) সমর্থন করছেন, তাঁদের শুধু ঘটনাটি মনে করিয়ে দিতে চাইছি। কীরকম ক্রীড়াপ্রেমী সরকার জানার পরেও যদি আপনারা তৃণমূলকে(TMC) সমর্থন করেন, আমার কিছু বলার নেই। ভবিষ্যৎ আপনাদেরকে এই প্রশ্ন করবে।”