খবর এইসময়, ব্যারাকপুর: বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনে গ্রেফতার আরও এক অভিযুক্ত। এনিয়ে ধৃত ৩। গ্রেফতার করা হল নাসির খানকে। জানা গিয়েছে, ভাড়াটে খুনির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন নাসিরই। শুধু তাই নয় মণীশের গতিবিধির উপর নজরও রেখেছিলেন।
ওই দিন ঘটনাস্থলের কাছাকাছিই ছিলেন নাসির। আততায়ীদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখছিলেন। কাজ শেষের পর তিন জায়গায় ফোন করেন তিনি। ভাড়াটে খুনিদের সঙ্গে রফাও করেছিলেন এই নাসির।
মণীশ হত্যাকাণ্ডে এনিয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হল। মণীশের বাবার করা এফআইআরে নাম রয়েছে খুররম খানের। খুররম ও তার সহযোগী গুলাব শেখ ইতিমধ্যেই সিআইডি হেফাজতে। ছেলের হত্যাকাণ্ডে ৯ জনের নামে এফআইআর করেছেন মণীশের বাবা। যেখানে পাঁচ নম্বরে নাম ছিল ওই নাসিরের।
উল্লেখ্য, বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় সোমবারই আটক করা হয়েছিল ব্যবসায়ী মহম্মদ খুররম এবং শার্প শ্যুটার গুলাব শেখকে। দিনভর তাদের জেরা করেন সিআইডি কর্তারা। তারপর তাদের গ্রেফতার করা হয়।
জানা গিয়েছে, খুররমের সঙ্গে মণীশের দীর্ঘদিনের সংঘাত ছিল। তখন থেকেই তদন্তকারীদের সন্দেহ ছিল যে ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণেই খুন করা হয়েছে মনীশকে।
সিআইডি সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজ, পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ এবং বাইক চিহ্নিত করে এক আততায়ীকে প্রথমে শনাক্ত করা হয়। তারপর সেই সূত্র ধরেই ব্যবসায়ী মহম্মদ খুররমের হদিশ মেলে।
উল্লেখ্য, খুররমের বাবা ছিলেন স্থানীয় সিপিএম নেতা। তাঁর খুন হওয়ার ঘটনায় মণীশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। সিআইডি কর্তাদের অনুমান ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতেই শার্প শ্যুটারকে সুপারি দিয়ে খুন করিয়েছেন খুররম। ধৃত দুজনকেই মঙ্গলবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার এফআইআরে মোট সাত জনের নামে অভিযোগ করেছেন মণীশের বাবা। তার মধ্যে দু’জন টিটাগড় ও ব্যারাকপুর পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা। টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রশান্ত চৌধুরী, ব্যারাকপুর পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান উত্তম দাসের নাম রয়েছে এফআইআরে।
যদিও দুই বিদায়ী চেয়ারম্যানই নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, ইচ্ছাকৃত ভাবে এই খুনের ঘটনাকে রাজনৈতিক মোড়ক দেওয়া হচ্ছে।