দিল্লিতে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য পারভেশ ভার্মা,(NCR Parvesh Verma) বিজেন্দ্র গুপ্ত, আশীষ সুদ, সতীশ উপাধ্যায়, মনজিন্দর সিরসা সহ একাধিক বড় নেতার মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছিল। তবে, এই দৌড়ে শেষ পর্যন্ত রেখা গুপ্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, যা অনেক নেতার জন্য হতাশাজনক। তবে, প্রবেশ ভার্মা এবং বিজেন্দ্র গুপ্তকে মুখ্যমন্ত্রী না করা নিয়ে বেশ কিছু কারণ সামনে এসেছে।
বিজেন্দ্র গুপ্ত এবং প্রবেশ ভার্মার সম্ভাবনা
প্রবেশ ভার্মা, যিনি দিল্লির (News Delhi) বিধানসভায় তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন, তাকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনাও ছিল। এই কারণে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকরি ভার্মাকে ইনস্টাগ্রামে উপ-মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়ে পোস্ট করেছিলেন। যদিও পরে ওই পোস্টটি মুছে ফেলা হয়, যার কারণে ভার্মার নাম নিয়ে আলোচনা আরো তীব্র হয়েছে।
অন্যদিকে, প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা বিজেন্দ্র গুপ্তকেও মুখ্যমন্ত্রী পদে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। তবে, শেষ পর্যন্ত তার নাম উঠলেও, তাকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী পদে রেখা গুপ্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কারণ
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রবেশ ভার্মা এবং বিজেন্দ্র গুপ্তের জায়গায় রেখা গুপ্তাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে। এর পিছনে একাধিক কৌশলগত কারণ রয়েছে। বিজেপি দলের মধ্যে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ থেকে বেরিয়ে আসতে চান, যাতে দলের ভিতরে কোনো ধরনের বিতর্ক না সৃষ্টি হয়।
এছাড়া, রেখা গুপ্তাকে মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপি দলের পক্ষ থেকে একটি শক্তিশালী বার্তা দেওয়া হয়েছে। মহিলা নেতৃত্বকে প্রাধান্য দেওয়া, দলের বৈশ্য এবং মহিলা সদস্যদের মধ্যে সমর্থন বাড়াতে সহায়ক হবে।
মন্ত্রী পদের সম্ভাবনা
দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী পদে বঞ্চিত হওয়া নেতাদের মধ্যে বেশ কিছু নেতা মন্ত্রী পদে আসতে পারেন। প্রবেশ ভার্মা, বিজেন্দ্র গুপ্ত, আশীষ সুদ, মনজিন্দর সিরসা, রবীন্দ্র ইন্দ্রাজ, কপিল মিশ্র এবং ড. পঙ্কজ সিং-এর নাম মন্ত্রী পদের জন্য আলোচিত হচ্ছে। এছাড়া, সতীশ উপাধ্যায়, অরবিন্দর সিং লাভলি, মোহন সিং বিষ্ট, অভয় ভার্মা, কৈলাশ গাঙ্গওয়াল, এবং কর্নাইল সিং সাইনির মতো নেতাদেরও মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অপরদিকে, কেন বঞ্চিত হলেন ভার্মা এবং বিজেন্দ্র গুপ্ত?
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রবেশ ভার্মা এবং বিজেন্দ্র গুপ্তের নাম তোলার সময়, অনেকেই তাদেরকে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। তবে, বিজেপির ভেতরকার কিছু রাজনীতি এবং জাতিগত সমন্বয় এই সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছে। বিশেষভাবে, বিজেপি দলের মধ্যে কোনো ধরনের স্বজনপ্রীতি ও গোষ্ঠী-বিভাজন যাতে না হয়, সেজন্য ভার্মাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়নি।
অন্যদিকে, বিজেন্দ্র গুপ্তের তুলনায় রেখা গুপ্তাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হতে পারে যে, বিজেপি দলের নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে বৈশ্য সম্প্রদায়ের পাশাপাশি মহিলা ভোটও আকৃষ্ট হবে।
তবে,দিল্লির বিজেপির মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে বঞ্চিত নেতা থেকে শুরু করে, মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে যে আলোচনা চলছে, তা দলের ভবিষ্যতের দিকনির্দেশক হয়ে উঠতে পারে। বিজেপি যখন বিভিন্ন জাতিগত ও সম্প্রদায়িক সমন্বয় বজায় রাখার চেষ্টা করছে, তখন রেখা গুপ্তের নেতৃত্ব সেই লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হতে পারে।