কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) NEET প্রশ্নপত্র ফাঁস (NEET Paper Leak Case) মামলায় একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। গুজরাটের ৪টি জেলার ৭টি জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। সূত্রের খবর, গুজরাটের গোধরা, খেড়া, আনন্দ এবং আহমেদাবাদের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই।
হাজারিবাগ থেকে সাংবাদিক জামালউদ্দিনকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। জামালউদ্দিনের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ ও উপ-অধ্যক্ষকে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে। কলের বিবরণ থেকে জানা যায় যে, জামালউদ্দিন ফোনে অধ্যক্ষ ও উপ-অধ্যক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানা যায় যে সে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় অধ্যক্ষ ও সহ-অধ্যক্ষকে সাহায্য করছিল।
গত ৫ মে গোধরায় অনুষ্ঠিত NEET-UG পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে গুজরাট পুলিশ গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনের মধ্যে চারজনের চার দিনের রিমান্ড চেয়েছে সিবিআই। সিবিআইয়ের কৌঁসুলি ধ্রুব মালিক জেলা আদালতকে জানান যে গুজরাট পুলিশ এর আগে তদন্ত করেছিল, কিন্তু সংস্থাটি নতুন করে তদন্ত চালাচ্ছে বলে এই অভিযুক্তদের হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল।
সিবিআই স্কুলের শিক্ষক তুষার ভাট, জয় জাল্লারাম স্কুলের অধ্যক্ষ পুরুষোত্তম শর্মা এবং মধ্যস্থতাকারী বিভোর আনন্দ ও আরিফ ভোহরার হেফাজত চেয়েছে, যাঁদের মধ্যে পাঁচজনকে গুজরাট পুলিশ ৮ই মে এবং পরের সপ্তাহে গ্রেপ্তার করেছিল। সিবিআই পরশুরাম রায়ের রিমান্ড চায়নি। পাঁচজনই বর্তমানে গোধরা সাব-জেলে বন্দি।
মহারাষ্ট্রে NEET-র প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সিবিআই-এর একটি দল আজ লাতুর পৌঁছতে পারে। মহারাষ্ট্র সরকার লাতুর পেপার ফাঁস মামলার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দিয়েছে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যে পুলিশ দল তদন্ত চালাচ্ছে, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। দলটি আজ লাতুর পৌঁছতে পারে এবং প্রয়োজনীয় নথি হাতে নিতে পারে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত লাতুরের দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে এবং তাদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।