আরজি করের রেশের মধ্যেই শিশু পাল্টানো নিয়ে উত্তাল হয়ে পড়ল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (North Bengal Medical College)। হাসপাতাল চত্বরে (North Bengal Medical College) বিক্ষোভ দেখালেন প্রসূতির পরিবারের সদস্যরারা। জানা যায়, হাসপাতালে (North Bengal Medical College) সদ্যোজাত পুত্র সন্তানকে দেখে বাড়ি ফিরে আসেন প্রসূতির পরিবারের সদস্যরা। বাড়িতে ফিরলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, তাঁদের কন্যা সন্তান হয়েছে।
প্রসূতির পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার ফাঁসিদেওয়ার মহিলা পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। সদ্যোজাতকে দেখে বাড়ি ফিরলে, ফোন করে জানানো হয়, তাঁদের কন্যা সন্তান হয়েছে। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রসূতির পরিবারের সদস্যরা। প্রসূতির পরিবার কর্তব্যরত নার্সের বিরুদ্ধে সন্তান বদলের অভিযোগ তোলেন। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত নার্স মৌখিকভাবে তাঁর ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন। প্রসূতির পরিবার তারপরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন।
অভিযোগ, প্রসূতি সদ্যোজাতকে জন্ম দেওয়ার পর পরিবারকে পুত্র সন্তান দেখানো হয়। তারপর প্রসূতির পরিবারের সদস্যরা বাড়ি চলে আসেন। একজন সেখানে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে মেডিক্যাল কলেজের তরফে ফোন করে তাঁদের বলা হয়, তাঁদের কন্যা সন্তান হয়েছে। এরপরেই প্রসূতির পরিবারের সদস্যরা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভিড় করতে থাকেন। তাঁরা কর্তব্যরত নার্সকে প্রশ্ন করতে থাকেন, কীভাবে পুত্র সন্তান কন্যা সন্তানে পরিণত হল। সেই সময় কর্তব্যরত ওই নার্স দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ।
পরিবারের তরফে বিক্ষোভ দেখানো হয়। কিছুক্ষণ পরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, তাঁদের পুত্র সন্তানই হয়েছে। কর্তব্যরত নার্স বা চিকিৎসক কিছু ভুল করেছেন। প্রশ্ন উঠছে, এতবড় ভুল কেন হল? মেডিকেল কলেজের অ্যাডিশনাল সুপার নন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘ এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। পুরোটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এ ধরনের ভুল কোনদিন গাইনি বিভাগে হয়নি। যদি হয়ে থাকে কারা করেছে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ প্রসূতির পরিবারের তরফে সন্দেহ করা হচ্ছে, শিশু বদলের চেষ্টা করা হয়েছিল। ওই কর্তব্যরত নার্স মৌখিকভাবে নিজের ভুলের কথা স্বীকার করে নেন বলেও প্রসূতির পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে।