অবশেষে নতুন দিল্লি রেল স্টেশনের (New Delhi Station) সংস্কারের পরিকল্পনা গতি পেয়েছে। বছরের পর বছর ধরে ঝুলে থাকা এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের পথ সুগম করে সোমবার রেল মন্ত্রক নির্মাণ কাজের জন্য অনুমোদনের চিঠি জারি করেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের তথ্য রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেছেন।
রেল ভূমি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরএলডিএ) নেতৃত্বে প্রকল্পটি (New Delhi Station) আনুমানিক ২৪৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন হবে। নতুন দিল্লি রেল স্টেশনকে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সজ্জিত করার জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং, ক্রয় এবং নির্মাণ পদ্ধতিতে কাজ করা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় এস্টেট এন্ট্রি রোডের দিক থেকে নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
The Letter of Acceptance (LOA) has been issued for the redevelopment of New Delhi Railway Station and the construction of associated infrastructure under the EPC mode. The project, valued at ₹2,469 crore, has been awarded at a quoted rate of 11.07% below the estimated cost,… pic.twitter.com/mlBZdDKV3p
— DD News (@DDNewslive) February 10, 2025
রেল যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে স্টেশনটিকে (New Delhi Station) আধুনিক ও উচ্চ প্রযুক্তির করা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় পাহাড়গঞ্জ ও আজমেরি গেটের দিকে দুটি বিশাল স্টেশন ভবন নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও, এয়ার কনকোর্স, ওয়েটিং এরিয়া, লিফট এবং এসকেলেটরের মতো সুবিধা যাত্রীদের জন্য উপলব্ধ করা হবে। এছাড়াও, স্টেশনটিকে যানজট মুক্ত রাখতে এলিভেটেড এবং গ্রাউন্ড রোড নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে, যা যানজট সৃষ্টি করবে না।
এছাড়াও, বাণিজ্যিক খুচরো এলাকা, খাদ্য ও পানীয়ের দোকান এবং অন্যান্য যাত্রী সুবিধাগুলিও স্টেশন প্রাঙ্গণে গড়ে তোলা হবে। নিরাপত্তা জোরদার করতে স্টেশনটিকে সৌর শক্তি, ভাল সিসিটিভি নজরদারি ব্যবস্থা এবং অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সহ সবুজ বিল্ডিং মানগুলির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করা হবে।
নয়াদিল্লি রেল স্টেশনের (New Delhi Station) পুনর্বিন্যাসের আওতায় প্ল্যাটফর্ম এবং পার্সেল এলাকার সংস্কার করা হবে। স্টেশনে দুটি অত্যাধুনিক পার্সেল টানেল তৈরি করা হবে, যা পার্সেল বহন করা সহজ করে তুলবে। এছাড়াও, পার্কিং এলাকা সম্প্রসারণের মাধ্যমে যাত্রীদের চলাচলকে সুবিন্যস্ত করা হবে।
এই প্রকল্পের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে নির্মাণ কাজের সময় ট্রেন চলাচলে কোনও প্রভাব পড়বে না এবং যাত্রীদের অসুবিধা হবে না। এয়ার কনকোর্স, এলিভেটেড রোড নেটওয়ার্ক, প্রধান ভবন নির্মাণের জন্য সতর্ক কৌশলের প্রয়োজন হবে যাতে ট্রেনগুলি চলতে পারে এবং স্টেশনের (New Delhi Station) কাজও দ্রুত সম্পন্ন করা যায়। এর জন্য দিল্লির অন্যান্য রেল স্টেশন থেকে কিছু ট্রেন চালানো যেতে পারে। রেল আধিকারিকদের মতে, এই প্রকল্প শেষ হওয়ার পর নয়াদিল্লি রেল স্টেশন দেশের সবচেয়ে আধুনিক এবং সু-রক্ষণাবেক্ষণ করা রেল স্টেশনগুলির মধ্যে একটি হয়ে উঠবে। যাত্রীরা কেবল উন্নত সুযোগ-সুবিধা পাবেন না, রেল স্টেশনের নতুন চেহারা দিল্লির পরিচয়কে আরও জাঁকজমকপূর্ণ করে তুলবে।