ট্যাব কেলেঙ্কারির (Fraud) পর বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বাড়তি সতর্কতা নিয়েও কেলেঙ্কারি (Fraud) ঠেকানো গেল না। উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে এবার উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব (Fraud) হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় প্রশাসনের একাংশ ও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় (Fraud) তুলেছে বিজেপি।
পাঞ্জিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকজন বাসিন্দা দিন কয়েক আগেই বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম কিস্তি হিসেবে ৬০ হাজার টাকা করে পেয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই টাকা রহস্যজনকভাবে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে।
এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, প্রকল্পের টাকা পাওয়ার পর তিনি ২০ হাজার টাকা তুলেছিলেন। পরে দেখতে পান, বাকি টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব। আরেকজন জানিয়েছেন, ১০ হাজার টাকা তোলার পর তার অ্যাকাউন্ট থেকেও ধাপে ধাপে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত উপভোক্তারা ইসলামপুর পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান। তিনি জানান, বিষয়টি ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। এই ঘটনার পর বিজেপি সরব হয়েছে। তাদের দাবি, প্রশাসন এবং তৃণমূলের একাংশ মিলে সরকারি টাকা গায়েব করার নতুন পদ্ধতি বের করেছে। বিজেপির এক নেতার অভিযোগ, “এটা তৃণমূলের আরেকটি চুরি। সরকারি প্রকল্পের টাকা সরিয়ে নেওয়ার জন্য পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।”
ইতিমধ্যেই সাইবার ক্রাইম বিভাগ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তবে উপভোক্তাদের অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে আরও কড়া পদক্ষেপের দাবি উঠেছে। এর আগে ট্যাব কেলেঙ্কারিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলা। পশ্চিমবঙ্গের অন্তত ১০০ জন শিক্ষার্থী “ট্যাবলেট তহবিল কেলেঙ্কারি”র শিকার হয়। বেশ কয়েকটি স্কুল অভিযোগ করে যে পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ করা তহবিল অন্য অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার শুরু করা ট্যাবলেট স্কিমের জন্য অর্থ পাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কলকাতা পুলিশ একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠন করে।
এই ঘটনা বাংলার বাড়ি প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন তুলেছে। গ্রামবাসীদের আস্থাহীনতা এবং বিরোধীদের আক্রমণের মধ্যে কীভাবে নবান্ন এই পরিস্থিতি সামাল দেয়, তা এখন দেখার বিষয়।