অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শনিবার রাজ্যের আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে অবৈধ (NRC-Aadhar) অভিবাসন সনাক্তকরণ ও প্রতিরোধের জন্য একটি নতুন পদক্ষেপের ঘোষণা করেছেন। আধার কার্ড দেওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যার তুলনায় ধুবড়ি জেলায় বেশি আধার কার্ড (NRC-Aadhar) জারি করা হয়েছে, যার ফলে কিছু সন্দেহজনক ব্যক্তির আধার কার্ড পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আধার কার্ড দেওয়ার বিষয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরে সরমা বলেন, ধুবড়ি জেলার জনসংখ্যার চেয়ে বেশি লোককে আধার কার্ড দেওয়া হয়েছে। সম্ভবত কিছু সন্দেহজনক ব্যক্তি আধার কার্ড (NRC-Aadhar) পেয়েছেন। সুতরাং, অসম সরকার আগামী ১০ দিনের মধ্যে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। তিনি বলেন, কেউ এনআরসি-র জন্য আবেদন না করলে নতুন প্রক্রিয়ায় আধার কার্ড পাবেন না। এই বিজ্ঞপ্তি ১ অক্টোবর থেকে চা বাগান এলাকায় প্রযোজ্য হবে না, অন্যান্য জেলার প্রাপ্তবয়স্কদের কঠোর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
হিমন্ত বলেন, এনআরসি আপডেটের পর বিদেশিদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়া প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আমরা ২০-৩০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছি বা ফেরত পাঠিয়েছি। আজ আমরা অসমে অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিতকরণ জোরদার করার নির্দেশ জারি করেছি। এই প্রক্রিয়াটিকে আরও জোরদার করতে আমরা বিস্তারিত নির্দেশিকা প্রকাশ করেছি।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে অসম ৫৪ জন অবৈধ (NRC-Aadhar) অভিবাসীকে চিহ্নিত করেছেঃ করিমগঞ্জ জেলায় ৪৮ জন, বঙ্গাইগাঁও জেলায় ৪ জন এবং হাফলং জিআরপি ও ধুবরি জেলায় একজন করে। এর মধ্যে ৪৫ জনকে নির্বাসিত করা হয়েছে এবং নয়জনকে করিমগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতিবেদনে উচ্চ অসম এবং উত্তর অসম জেলায় সন্দেহভাজন অ-ভারতীয় নাগরিকদের উপস্থিতির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, যা জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এদিকে, অসম সরকার একটি বিস্তারিত আদেশে অসম পুলিশ বর্ডার অর্গানাইজেশনকে অবৈধ অভিবাসীদের সনাক্তকরণ জোরদার করতে এবং তাদের চলাচল সক্রিয়ভাবে রোধ করতে প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রতিরোধমূলক ও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।