১৯০০ সালের প্যারিস অলিম্পিকের পর আবারও দুনিয়ার সবথেকে বড় স্পোর্টিং ইভেন্টে ফিরতে চলেছে ক্রিকেট (Olympic Cricket)। ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে আবারও ক্রিকেটারদের পদকের জন্য লড়াই করতে দেখা যাবে। যদিও লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক এখনও ৪ বছর দূরে, তবে ইংল্যান্ড ইতিমধ্যে এর জন্য পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) এর জন্য স্কটল্যান্ডকে একটি বিশেষ প্রস্তাব দিয়েছে।
২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে নারী ও পুরুষ বিভাগে ৬টি করে ক্রিকেট (Olympic Cricket) দল অংশ নেবে। এমন পরিস্থিতিতে ছোট দলগুলির জন্য যোগ্যতা অর্জনের সম্ভাবনা খুব কম। সম্ভবত এই কারণেই স্কটল্যান্ডকে গ্রেট ব্রিটেনের ক্রিকেট (Olympic Cricket) দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ইংল্যান্ড। এই অফারটি শুধুমাত্র অলিম্পিকের জন্য। এটি কেবল এই দলকে শক্তিশালী করবে না, স্কটল্যান্ডের কিছু ক্রিকেটার অলিম্পিকে খেলার সুযোগও পাবে।
স্কটল্যান্ডকে আইসিসি ওডিআই মর্যাদা দিয়েছে। ইতিপূর্বে তারা ক্রিকেট বিশ্বকাপ এবং কমনওয়েলথ গেমসেও অংশ নিয়েছেন। ১৯৯৮ সালের কমনওয়েলথ গেমসে স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলস পুরুষদের দলগত ইভেন্টে (Olympic Cricket) অংশ নিয়েছিল। ভারতীয় মহিলা দলও এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিল।
ইংল্যান্ড দলে সাধারণত ওয়েলসের খেলোয়াড়রা থাকে। এই কারণেই তাদের বোর্ডকে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) বলা হয়। ক্রিকেট (Olympic Cricket) জগতে ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের একটি স্বতন্ত্র পরিচয় রয়েছে। তবে, অলিম্পিক গেমসে ইংল্যান্ডকে গ্রেট ব্রিটেন বলা হয়। গ্রেট ব্রিটেন দলে ইংল্যান্ডের পাশাপাশি স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের খেলোয়াড়রা রয়েছেন। স্কটল্যান্ডের ক্রীড়াবিদরা অনেক খেলায় যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করেন। এমনকি যে খেলাগুলিতে স্কটল্যান্ড একটি স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করেছে, সেখানেও এটি খুব কমই দেখা যায়।