পল্লব হাজরা, কলকাতা: বেশ কিছু দিন ক্রমেই বেড়ে চলেছিল আদ্রতা জনিত অস্বস্তি। গলদঘর্মে একপ্রকার নাজেহাল রাজ্যবাসী। দক্ষিণবঙ্গে গত শুক্রবার সন্ধের পর থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিদায়ক হলেও পুজোর বাজারে চিন্তার ভাঁজ ব্যবসায়ীদের কপালে। হাতে মাত্র আর কটা দিন পুজোর কেনাকাটা জমে উঠেছে রীতিমতো। তার মধ্যে অসুররূপ ধারণ করেছে প্রাক বৃষ্টি।
ইতিমধ্যেই শক্তি সঞ্চয় করছে আরব ও বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হওয়া জোড়া নিম্নচাপ। আগামী দু’ দিন তা আরও শক্তিশালী হয়ে বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম উপকূলে অগ্রসর হবে। যার জেরে আগামী ৪থেকে ৫ দিন রাজ্যে সব জেলাতেই হবে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত শক্তিশালী নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ধীরে ধীরে যা শক্তি সঞ্চয় করে ৪৮ঘন্টায় সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হবে। উত্তর পূর্ব ও পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ ক্রমশ উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে এগিয়ে আসছে। নিম্নচাপের ফলে বাড়বে নদীর জলস্তর। রবিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। উত্তরবঙ্গে শনিবার থেকে বাড়বে বৃষ্টির পরিমান। ফলে বাড়তে পারে পাহাড়ে ধসের আশঙ্কা।
ইতিমধ্যে বৃষ্টির দাপটে বলি ৩শিশু। বাঁকুড়া জেলায় মাটির দেওয়াল ভেঙে মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের ৩ শিশুর। দুর্ঘটনায় শোকের চাদরে মুরেছে বিষ্ণুপুরের বাঁকাদহের বোড়ামারা অঞ্চল।