প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর (One Nation One Election) প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। বুধবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেশে একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, দুপুর ৩টায় মোদী মন্ত্রিসভার বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে একটি ব্রিফিং দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) সম্পর্কিত কোবিন্দ প্যানেলের প্রতিবেদন গ্রহণ করেছে। এতে নির্বাচনের খরচ কমবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভেনাস অরবিটার মিশন, গগনযানের সম্প্রসারণ এবং চন্দ্রযান-৪ মিশনেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, মোদী সরকারের তৃতীয় মেয়াদের ১০০ দিন পূর্ণ হওয়ার বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন যে এই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দেশে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) কার্যকর করা হবে।
এই বছরের গোড়ার দিকে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভা উভয় ক্ষেত্রেই একযোগে নির্বাচনের সুপারিশ করেছিল। এর জন্য, প্যানেলটি ১৮টি সাংবিধানিক সংশোধনীরও পরামর্শ দেয়, যার বেশিরভাগের জন্য রাজ্য বিধানসভার অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না, তবে সাংবিধানিক সংশোধনী বিলের আকারে সংসদের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।
৩২ রাজনৈতিক দলের সমর্থন
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি এই ইস্যুতে ৬২টি দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। এর মধ্যে ৪৭টি রাজনৈতিক দল তাদের মতামত দিয়েছে, এবং ১৫টি দল কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। যে ৪৭টি দল সাড়া দিয়েছিল, তাদের মধ্যে ৩২টি দল একযোগে নির্বাচনের (One Nation One Election) ধারণাকে সমর্থন করেছিল, আর ১৫টি দল এর বিরোধিতা করেছিল।
ফায়দা কী?
সারা দেশে একযোগে নির্বাচন হলে কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এছাড়াও, নির্বাচন কমিশন পুনরাবৃত্ত নির্বাচন থেকে মুক্তি পাবে। একযোগে নির্বাচনের (One Nation One Election) মাধ্যমে নির্বাচনের দিকে নয়, উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করা হবে। এছাড়াও, বারবার আচরণবিধি প্রয়োগ করার প্রয়োজন হবে না। এটি কালো টাকা রোধেও সহায়তা করবে।
রাজ্য নির্বাচন আধিকারিকদের পরামর্শ
প্যানেলটি রাজ্য নির্বাচন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) দ্বারা একটি সাধারণ ভোটার তালিকা এবং ভোটার আইডি কার্ড প্রস্তুত করারও সুপারিশ করেছে। বর্তমানে, নির্বাচন কমিশন লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের জন্য দায়বদ্ধ, অন্যদিকে পৌরসভা ও পঞ্চায়েতের স্থানীয় সংস্থার নির্বাচন রাজ্য নির্বাচন কমিশন দ্বারা পরিচালিত হয়।