NEET মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার পর থেকে পড়ুয়াদের মধ্যে পরীক্ষা আয়োজনকারী সংস্থার ওপর ভরসা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। অনেক রাজ্য সরকার এই পরীক্ষা রদ করার কথা বলেছে। এদিকে, বিরোধীদের ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যে কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারও NEET-এর বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। এই ‘মেডিকেল এডুকেশন এন্ড স্কিল ডেভলপমেন্ট’ প্রস্তাব পেশ করেন প্রতিমন্ত্রী শরণ প্রকাশ পাতিল। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিজেপি ও জেডিএস-এর প্রবল বিরোধিতার মধ্যে এই প্রস্তাবটি পাস হয়।
গত মন্ত্রিসভার বৈঠকেই কেন্দ্রীয় সরকারকে এই পরীক্ষা থেকে NEET-কে অব্যাহতি দেওয়ার এবং CET ব্যবস্থা পুনরায় প্রয়োগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। NEET নিয়ে বিতর্ক থামার কোনও নাম নেই। NEET পরীক্ষায় কারচুপির বিষয়টি শিক্ষা ব্যবস্থাকে নাড়া দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টও NEET প্রশ্নপত্র বাতিল করার দাবি খারিজ করে দিয়েছে। প্রতি বছর, লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী NEET পরীক্ষায় অংশ নেয়। কর্ণাটক থেকেও হাজার হাজার শিক্ষার্থী প্রতি বছর এই পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকেন।
এক দেশ, এক নির্বাচন-এর বিরুদ্ধে প্রস্তাবও পাস
শুধু তাই নয়, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন কর্ণাটক সরকার আজ বিধানসভায় ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর বিরুদ্ধে (One Nation, One Election) প্রস্তাবও পাস করেছে। কর্ণাটক সরকার বিশ্বাস করে যে এই ব্যবস্থা গণতন্ত্রের জন্য ভাল নয়। বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে দেশে একবারে নির্বাচন হওয়া (One Nation, One Election) উচিত কারণ এতে অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে। এই ব্যবস্থার বিরোধীরা বলছেন, যদি এমনটা হয়, তাহলে নির্বাচনের সময় স্থানীয় বিষয়গুলি জাতীয় সমস্যার মধ্যে চাপা পড়ে যাবে।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় NEET বিরোধী প্রস্তাব
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও বুধবার অর্থাৎ ২৪ জুলাই NEET বাতিল করে একটি নতুন মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষার সাথে প্রতিস্থাপনের জন্য একটি প্রস্তাব পাস করেছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় গৃহীত প্রস্তাবটিতে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) নিন্দা করা হয়েছে। মেডিকেল ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু পরীক্ষা পরিচালনা করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য এনটিএ-র বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। রাজ্যের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রস্তাবটিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে রাজ্যে যৌথ প্রবেশিকা পরীক্ষা বহাল করার আহ্বান জানানো হয়।