আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল রাজ্য। তারমধ্যে একের পর এক মহিলার (Krishnanagar) দেহ উদ্ধার নিয়ে মানুষের মনে নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ অনুমান করেছে মহিলাকে অন্যত্র (Krishnanagar) ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁর মুখে আগুন দেওয়া হয়েছে। তরুণীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসাপাতালে (Krishnanagar) পাঠানো হয়েছে। মহিলার পরিচয় খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনাটি কৃষ্ণনগরে হয়েছে।
লক্ষীপুজোর দিন সকালেই মহিলার দেহ স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা দেখতে পায়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এক মহিলাকে এখানে মেরে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। মুখটা পুড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে। সকালবেলা কয়েকজন এসে জানায় যে ওইখানে মেয়ে পড়ে আছে না পুতুল পড়ে আছে বোঝা যাচ্ছে না। তারপর পুলিশ আসল। খুব বেশি বয়স হবে না। মনে হল কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”
অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডের পর একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে। জয়নগরে একটি নয় বছরের বালিকার দেহ বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে জলা জমি থেকে উদ্ধার করা হয়। তারপর জয়নগর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য। জয়নগরের বাসিন্দারা পুলিশের ওপর নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিতে থাকেন। পুলিশ প্রথমে নিখোঁজের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখেনি। এই থানা থেকে ওই থানা ঘুরিয়েছে। সেই সময় পুলিশ যদি গুরুত্ব দিত, তাহলে মেয়েটিকে তাঁরা জীবিত অবস্থায় পেত। পুলিশের ফাঁড়ি ভাঙচুর করেন সাধারণ মানুষ। এরপর ফারাক্কা থেকে বস্তাবন্দি এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে আসা হয়। পুলিশ প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করেছে।