কথা দিয়ে কথা রাখলেন রাজ্য সরকার (Tea Garden)। উপনির্বাচনের আগে যে প্রতিশ্রুতি তৃণমূল সরকারের তরফে দেওয়া হয়েছিল, তা পালন করল রাজ্য সরকার। উত্তরবঙ্গে দুটি বন্ধ চা বাগান (Tea Garden) নতুন করে খুলতে চলেছে রাজ্য সরকার। উপনির্বাচনে মাদারিহাট বিধানসভার উপনির্বাচনে জয়ী হন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পো । তারপরেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগামী ১২ ডিসেম্বর খুলছে কালচিনি ব্লকের বন্ধ রায়মাটাং চা–বাগান (Tea Garden), ১৯ ডিসেম্বর কালচিনি ব্লকের অন্য একটি চাবাগান খুলতে চলেছে। চা বাগান (Tea Garden) নতুন করে খোলার খবরে খুশির হাওয়া চা শ্রমিকদের মধ্যে।
আগেও উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি চা বাগান খুলে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অনেকক্ষেত্রে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি অনেকটা সুগম করেছে সরকার, যাতে মালিকপক্ষ চা-বাগান খুলতে উদ্যোগী ভূমিকা নেয়। এবার ফের উত্তরবঙ্গে দুটো চাবাগান খুলতে চলেছে। শনিবার দিন শিলিগুড়িতে শ্রম দফতরের ডাকা দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কালচিনি ব্লকের বন্ধ ওই দু’টি চা–বাগান খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই চা-বাগান খোলার বিষয়ে দাগাপুরের শ্রমিক ভবনেও বৈঠক হয় বলে জানা গিয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সামসি এবং বামনডাঙা চা–বাগানের মালিক ঋত্বিক ভট্টাচার্য। তিনিই এবার কালচিনি ব্লকের ওই দু’টি বন্ধ চা–বাগানের দায়িত্ব নিলেন।
চা বাগান খোলার খবরেও উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিকদের মধ্যে খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে এই দুটো চা বাগান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পুজোর বোনাস নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষের জেরেই এই দুটো চাবাগান বন্ধ হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কালচিনি চাবাগানে ২০২৩ জন শ্রমিক ছিল। অন্যদিকে, রায়মাটাং চা বাগানে শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ১২৫৮ জন।
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীরেন্দ্র বড়া ওরাওঁ বলেন, ‘উপনির্বাচনের আচরণবিধি উঠে যেতেই এবার আমাদের সরকার বন্ধ চা–বাগান খোলার উদ্যোগ শুরু করেছে।’ আর রাজ্য শ্রম দফতরের বীরপাড়া সার্কেলের সহকারী শ্রম কমিশনার অমিত দাসের বক্তব্য, ‘১২ ডিসেম্বর রায়মাটাং এবং ১৯ ডিসেম্বর কালচিনি চা–বাগান খুলছে।’