Operation Sindoor: পাকিস্তানের ফতেহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র কতটা শক্তিশালী? যা ধ্বংস করেছে ভারত

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা (Operation Sindoor) অব্যাহত। পাকিস্তান ক্রমাগত তার কার্যকলাপ থেকে বিরত হচ্ছে না এবং ড্রোন ইত্যাদি দিয়ে ভারতে আক্রমণ করার চেষ্টা করছে। এদিকে, পাকিস্তান ফতেহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভারতে আক্রমণ করে একটি বড় ভুল করেছে, যা ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা আকাশে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।

পাকিস্তানের এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটিকে খুবই বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। এর মাধ্যমে পাকিস্তান ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত লক্ষ্যবস্তুগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করার চেষ্টা করছিল। পাকিস্তানের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি কতটা শক্তিশালী তা জেনে নেওয়া যাক।

ফতেহ-১ কী?

ফতেহ-১ হল পাকিস্তানের তৈরি একটি বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র, যা ভূমি থেকে ভূমিতে আঘাত করার জন্য তৈরি। এটি একটি গাইডেড মাল্টি-লঞ্চ রকেট সিস্টেম (GMLRS) এর অংশ। এর নামকরণ করা হয়েছে ‘ফতেহ’, যার উর্দুতে অর্থ ‘বিজয়’। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ২০২১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এবং সম্প্রতি ৫ মে ২০২৫ তারিখে ‘এক্স সিন্ধু’ মহড়ায় এটি সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি পাকিস্তানের সামরিক শক্তিকে আরও শক্তিশালী করে। তবে, ভারত ২০২৫ সালের ১০ মে দাবি করে যে তারা হরিয়ানার সিরসার উপর দিয়ে মাঝ আকাশে ফতেহ-১ ক্ষেপণাস্ত্রটি ধ্বংস করেছে, যা তাদের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

ফতেহ-১ এর বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?

পাকিস্তানের ফাতেহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে তার নির্ভুলতা এবং শক্তির জন্য পরিচিত। এটি এমন একটি অস্ত্র যা গতি, নমনীয়তা এবং সাশ্রয়ী নকশাকে একত্রিত করে। এর পাল্লা ১২০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার, যদিও ২০২৫ সালের পরীক্ষায় ১২০ কিলোমিটার পাল্লার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এর ১৫০ থেকে ৩৩০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক ওয়ারহেড সহজেই শত্রুর লক্ষ্যবস্তু, যেমন বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা কমান্ড সেন্টার ধ্বংস করতে পারে।

এর উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম জিপিএস এবং ইনর্শিয়াল গাইডেন্স ব্যবহার করে। এই সিস্টেমটি এটিকে নির্ভুলভাবে লক্ষ্য নির্ধারণে বিশেষজ্ঞ করে তোলে। এর ট্রাক-মাউন্ট করা আট-কোষীয় লঞ্চার এটিকে পরিবহন এবং দ্রুত স্থাপনের সুযোগ দেয়, যা এটিকে যুদ্ধে নমনীয়তা দেয়। এর গতিও চিত্তাকর্ষক, এবং ফতেহ-২ এর মতো পরবর্তী মডেলগুলি সুপারসনিক। এটি ‘কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিন’-এর মতো ভারতের সামরিক কৌশলগুলিকে মোকাবেলা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

পাকিস্তানের নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্র আছে

ফতেহ-১ পাকিস্তান তার প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলি, যেমন গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড ডিফেন্স সলিউশনস (জিআইডিএস) এর সহযোগিতায় তৈরি করেছে। এটি ২০১৭ সালে শুরু হওয়া একটি কর্মসূচির আওতায় তৈরি করা হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি চীনের A-100 MLRS দ্বারা অনুপ্রাণিত বলে মনে করা হচ্ছে, যা পাকিস্তান ২০১৯ সালে অধিগ্রহণ করেছিল, তবে পাকিস্তান এটিকে সম্পূর্ণরূপে দেশীয় বলে মনে করে।