ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ক্রমাগত গুলিবর্ষণ ও গোলাগুলি চলছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আবারও নিরীহ মানুষকে টার্গেট করছে। বুধবার, ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে হামলা (Operation Sindoor) চালায়। এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১০০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়, যার মধ্যে মাসুদ আজহারের পরিবারের অনেক সদস্যও ছিলেন। এই সময়ে, ভারতীয় সেনাবাহিনী স্ক্যাল্প ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিতে আক্রমণ (Operation Sindoor) করে। প্রকৃতপক্ষে, ২২শে এপ্রিল পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদীদের হাতে ২৬ জন নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছিল, যার পরে ভারত সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল যে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত লড়াই অব্যাহত থাকবে।
ইসরায়েল এবং ভারত একসাথে: ভারতীয় দূতাবাস
এদিকে, ইসরায়েলে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস সোশ্যাল মিডিয়া সাইট X-এ একটি পোস্ট শেয়ার করেছে। এই পোস্টে ভারতীয় দূতাবাস লিখেছে, ‘ভারত সন্ত্রাসবাদের প্রতি শূন্য সহনশীলতার পক্ষে।’ গত দশকে, আমরা সীমান্ত পারস্পরিক সন্ত্রাসবাদী হামলায় ৩৫০ জনেরও বেশি নিরীহ ভারতীয় নাগরিককে হারিয়েছি। ৬০০ জনেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত ও ইসরায়েল একসাথে দাঁড়িয়েছে। এদিকে, বুধবার পাকিস্তানে সন্ত্রাসী শিবিরে হামলার পর, ভারতে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত রিউভেন আজার টুইটারে লিখেছেন: “ইসরায়েল ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে। সন্ত্রাসীদের অবশ্যই জানা উচিত যে নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে তাদের জঘন্য অপরাধ থেকে তাদের লুকানোর কোনও জায়গা নেই।”
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কী বললেন?
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও টুইটারে লিখেছেন: ‘আমি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমি আজ @POTUS-এর মন্তব্যের সাথে একমত যে আশা করি এটি শীঘ্রই শেষ হবে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ভারত ও পাকিস্তান উভয় নেতৃত্বের সাথেই আলোচনা অব্যাহত থাকবে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালু করার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র এএনআইকে বলেন, “আমরা এই প্রতিবেদন সম্পর্কে অবগত। তবে, এই মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনও মূল্যায়ন নেই। এটি একটি ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি, এবং আমরা ঘটনাবলী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।”
