পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার (Pahalgam Attack) পর, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান এখনও আক্রমণাত্মক। সিন্ধু জল চুক্তি ভঙ্গ করে ভারত পাকিস্তানের পানি বন্ধ করে দিয়েছে। এখন ভারত পাকিস্তানের কোমর ভেঙে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। হ্যাঁ, ভারত এখন পাকিস্তানকে আরও একটি বড় ধাক্কা দিতে পারে। পাকিস্তান ভারতের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন ভারত পাকিস্তানের জন্য তার বিমান এবং সমুদ্রপথও বন্ধ করে দিতে পারে। পাকিস্তানকে ভারতীয় বন্দর থেকে দূরে রাখার প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারত।
ভারত যদি বিমান ও সমুদ্রপথ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে পাকিস্তানের অর্থনীতি এবং সেখানকার স্থানীয় জনগণের উপর। ভারত যদি এটি করে, তাহলে পাকিস্তানকে অন্যান্য দেশে পৌঁছানোর জন্য শ্রীলঙ্কা এবং চিনের পথ অনুসরণ করতে হবে। বিশেষ করে যদি পাকিস্তানের জন্য ভারতীয় আকাশসীমা বন্ধ থাকে, তাহলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি, কুয়ালালামপুর ইত্যাদির বিমানগুলিকে শ্রীলঙ্কা এবং চিনের আকাশসীমা দিয়ে যেতে হবে, যার কারণে বিমানের খরচ এবং ভাড়া আরও বেড়ে যাবে।

ইউরোপও তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছিল
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থা ইতিমধ্যেই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ডের মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলিতে পৌঁছানোর জন্য ভারতীয় আকাশসীমা ব্যবহার করে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে, যদি ভারত বিমান ও সমুদ্রপথ বন্ধ করে দেয়, তাহলে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সকে অন্যান্য দেশে পৌঁছানোর জন্য দীর্ঘ দূরত্ব ভ্রমণ করতে হবে।
এর ফলে পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। মুদ্রাস্ফীতি বাড়লে দারিদ্র্য বাড়বে। পাকিস্তানের বাণিজ্য ও চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে, যা অর্থনীতির ক্ষতি করবে। ইউরোপীয় বিমান নিরাপত্তা সংস্থা (EASA) নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সকে ইউরোপে ফ্লাইট পরিচালনা নিষিদ্ধ করে। তবে, ৪ মাসেরও বেশি সময় পর, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে রুটটি খোলা হয়।