গত কয়েক মাস ধরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী (Pakistan Army) এবং নিরাপত্তা বাহিনী একের পর এক হামলার সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে বেলুচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় এই হামলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠী বিএলএ- এর এই হামলার মধ্যে , এটি উঠে এসেছে যে বিপুল সংখ্যক পাকিস্তানি সেনা(Pakistan Army) সামরিক চাকরি থেকে পদত্যাগ করছেন। নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে কাবুল ফ্রন্টলাইন এই দাবি করেছে। রবিবার কাবুল ফ্রন্টলাইন জানিয়েছে যে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ২,৫০০ সৈন্য সেনাবাহিনী ছেড়ে চলে গেছে।
বর্তমানে পাকিস্তান নানাবিধ সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। সেনাবাহিনীতে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতা, সৈন্যদের ক্রমাগত মৃত্যু এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতিকে সৈন্যদের চাকরি ছেড়ে (Pakistan Army) দেওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী (Pakistan Army) ছেড়ে আসা বেশিরভাগ সৈন্য কাজের জন্য সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মতো দেশে চলে গেছে। তারা তাদের জীবনের ঝুঁকি নেওয়ার চেয়ে বিদেশে আর্থিক নিরাপত্তা বেছে নিতে পছন্দ করে।
বিষয়টি সহজেই অনুমেয় যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর(Pakistan Army) অভ্যন্তরে পরিস্থিতি বেশ ভয়াবহ। এই পরিস্থিতিতে, হিংসা এবং নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে সৈন্যরা ক্রমশ যুদ্ধ করতে অনীহা প্রকাশ করছে। পাকিস্তানের অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতি সৈন্যদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে। তবে, সৈন্যদের ব্যাপকভাবে দেশত্যাগ সেনাবাহিনীর শক্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।
পাকিস্তানের নিরাপত্তার জন্য বড় ঝুঁকি
সৈন্য সংখ্যা হ্রাস কেবল সেনাবাহিনীর (Pakistan Army) দক্ষতাকেই প্রভাবিত করে না বরং দেশের স্থিতিশীলতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে। নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির কারণে, সৈন্যদের মনোবল ভেঙে পড়ে, যার কারণে তারা সেনাবাহিনী ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই পরিস্থিতি পাকিস্তানের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে, কারণ একটি দুর্বল সামরিক বাহিনী দেশের নিরাপত্তার জন্য বড় ঝুঁকি হতে পারে। শাহবাজ সরকার এবং পাক সেনাবাহিনীকে শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে যাতে সৈন্যদের মনোবল বৃদ্ধি পায় এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়।
পাকিস্তানের উদ্বেগ বাড়িয়েছে বেলুচিস্তান
আসলে, বেলুচিস্তান আজকাল পাকিস্তানের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। ক্রমাগত পাক সৈন্যদের (Pakistan Army) লক্ষ্য করে চলেছে। ১১ মার্চের পর থেকে অনেক পাক সেনা নিহত হয়েছে। এই ঘটনা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাহীনতা এবং সংঘাতের পরিস্থিতি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। বালুচ বিদ্রোহীরা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উপর ক্রমাগত আক্রমণ চালাচ্ছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে, পাকিস্তানকে কেবল অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হতে হবে না, বরং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার সম্পর্কের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে।