জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সফরের মধ্যেই রাজনৈতিক নাটকের সৃষ্টি (TMC)। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যাকে তৃণমূলে (TMC) যোগদান করিয়ে সাফল্যের উদযাপন করেছিল তৃণমূল (TMC)। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টে যায় সেই পরিস্থিতি (TMC)। সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সদস্যা জানিয়ে দেন, তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন (TMC)।
শনিবার জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শনে আসেন কেন্দ্রীয় উপভোক্তা দফতরের প্রতিমন্ত্রী বনোয়ারী লাল ভার্মা। কুকুরজান ডাকুয়াপাড়ায় ‘সংবিধান গৌরব অভিযান’-এ অংশগ্রহণের পর সীমান্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। অনুপ্রবেশ রোধে রাজ্য সরকারের বিএসএফ-কে সতর্ক করা উচিত বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সফরের সময়ই রাজগঞ্জ ব্লক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস দেবী চৌধুরানি সভাকক্ষে দীক্ষা কর্মসূচির আয়োজন করে। সেখানে তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের উপস্থিতিতে পানিকৌরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গাপাড়া বুথের বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যা কল্পনা বর্মন তৃণমূলে যোগ দেন। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যাকে দলবদল করিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উৎসবের মেজাজে মেতে ওঠে তৃণমূল।
কিন্তু সেই সাফল্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সফর শেষে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য দেবাশিস দে কল্পনাদেবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর একটি যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে কল্পনাদেবী অভিযোগ করেন, তাঁকে কাজের লোভ দেখিয়ে তৃণমূলের কর্মসূচিতে নিয়ে গিয়ে জোর করে দলে যোগদান করানো হয়েছে। তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন বলে স্পষ্ট জানান।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূল নেতাদের দাবি, কল্পনাদেবী নিজে থেকেই দলবদলের ইচ্ছা প্রকাশ করে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে তাঁকে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়। লোভ দেখানোর অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছেন তৃণমূল নেতারা। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন, ওই নেত্রীকে কোনও ধরনের লোভ দেখানো হয়নি। এখন তিনি তৃণমূলের ওপর দোষ চাপাতে চাইছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সফর ও এই রাজনৈতিক পালাবদল ঘিরে রাজগঞ্জ ব্লকে উত্তেজনা অব্যাহত। দু’দলেরই দাবি পাল্টা দাবিতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।