অষ্টাদশ লোকসভার বিশেষ অধিবেশনের (Parliament Session) দ্বিতীয় দিনে সংসদে অনেক অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেল। নবনির্বাচিত সাংসদদের শপথ গ্রহণ মঙ্গলবারও অব্যাহত ছিল। সকালে মহারাষ্ট্রের সাংসদরা শপথ নেন। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর উত্তরপ্রদেশের সাংসদদের শপথবাক্য পাঠ করানো হয়। বিভিন্ন পটভূমি থেকে আসা সাংসদরা তাঁদের অঞ্চল, ধর্ম ও বিশ্বাস সম্পর্কিত স্লোগান তোলেন। সারা দিন ধরে ‘জয় শ্রী রাম’, ‘রাধে রাধে’ এবং ‘জয় সংবিধান’ স্লোগান প্রতিধ্বনিত হয় সংসদ ভবনে।
সংস্কৃত ভাষায় শপথ নিলেন মীরাটের বিজেপি সাংসদ অরুণ গোভিল। শপথের জন্য অরুণ গোভিলের নাম ডাকা হলে শাসক দলের কয়েকজন সদস্য ‘জয় শ্রী রাম’ বলে স্লোগান দেন। অরুণ গোভিল শপথ নিতে উঠলে, কিছু লোক পিছন থেকে চিৎকার করছিল- “বেইমানি সে জিত হো, বোইমানি সে জিত হো।”
অরুণ গোভিল সংস্কৃত ভাষায় শপথ নেন। শপথ নেওয়ার পর তাঁরা ‘জয় শ্রী রাম’ ও ‘জয় ভারত’ স্লোগান দেন। অরুণ গোভিল ‘জয় শ্রী রাম’ বলার সঙ্গে সঙ্গেই সংসদে উপস্থিত সমাজবাদী পার্টির সাংসদরা ‘জয় অবধেশ-জয় অবধেশ’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন। ফৈজাবাদের সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অবধেশ প্রসাদও উঠে দাঁড়ান এবং হাতজোড় করেন।
Arun Govil, (BJP) takes oath as Member of Parliament, (Meerut, Uttar Pradesh)#Parliament | #LokSabha | #RajyaSabha | #ParliamentSession pic.twitter.com/H878FrSKLu
— All India Radio News (@airnewsalerts) June 25, 2024
জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান রামায়ণে ভগবান রামের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অরুণ গোভিল। এই কারণেই তাঁকে বিজেপির রাম হিসাবে প্রচার করা হয়েছিল। ৪ঠা জুন গণনার দিন অরুণ গোভিল বেশ কয়েকবার সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী সুনীতা বর্মার থেকে পিছিয়ে পড়েন। দুই প্রার্থীর মধ্যে জোর টক্কর দেখা যায়। অরুণ গোভিল ১০,৫৮৫ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। বেশ কয়েক দফা গণনার সময়, এসপি প্রার্থী অরুণ গোভিলকে অনেকবার পেছনে রেখেছিলেন। ফলাফল ঘোষণার পর সমাজবাদী পার্টি অভিযোগ করে যে বিজেপি এখানে অসৎভাবে নির্বাচনে জিতেছে।
#WATCH | BJP MP Hema Malini took oath as a member of the 18th Lok Sabha today. pic.twitter.com/bIccsEwowt
— ANI (@ANI) June 25, 2024
গোভিল ছাড়াও গৌতম বুদ্ধ নগরের বিজেপি সাংসদ মহেশ শর্মাও সংস্কৃত ভাষায় শপথ নেন। মথুরা থেকে তিনবার সাংসদ হয়েছেন বিজেপির হেমা মালিনী। শপথের আগে হেমা মালিনী ‘রাধে-রাধে’ বলেন। উন্নাওয়ের বিজেপি সাংসদ স্বামী সচ্চিদানন্দ হরি সাক্ষী ওরফে সাক্ষী মহারাজও সংস্কৃত ভাষায় শপথ নেন।
বিকেল ৪টার দিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী শপথ নিতে এলে কংগ্রেস সাংসদরা তাঁর সমর্থনে স্লোগান দেন। রাহুল গান্ধী ইংরেজিতে শপথ নেন এবং পরে ‘জয় সংবিধান’ স্লোগান তোলেন।