সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলছে। বার বার জামিনের আবেদন করছেন রাজ্যের প্রভাবশালী নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee)। কিন্তু প্রতি শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chaterjee) জামিনের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রভাবশালী তকমা। একাধিক অভিযোগ রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের(Partha Chaterjee) বিরুদ্ধে। প্রশ্ন উঠছে তাঁকে (Partha Chaterjee) জামিন দিলে সমাজের ওপর কী প্রভাব পড়বে! প্রশ্ন তুললেন খোদ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি।
বুধবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শুনানির সময় জোর সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী মুকুল রোতহোগী। যে জায়গা থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে সেই জায়গার মালিকানাও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নয়। এই পরিস্থিতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু শুনানির শুরু থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ দিতে থাকেন।
এদিন শুনানির সময় বার বার বিচারপতি সূর্যকান্তের দাবি করেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে তাঁর সামাজিক প্রভাবের কথা। তিনি বলেন, “আমাদের দেখতে হবে উনি মুক্তি পেলে তদন্তের উপর প্রত্যক্ষভাবে কীভাবে প্রভাব পড়তে পারে। আমরা আপাতত একটা ব্রেক (জামিন আটকানো প্রসঙ্গে) দিতে পারি। কিন্তু, অনির্দিষ্টকালের জন্য হতে পারে না।” এরপরেই বিচারপতি ইডির কাছে জানতে চান, পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন পেলে কীভাবে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে? এই প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, প্রয়োজনে তিনি অন্য রাজ্যে গিয়ে থাকতে পারেন। অন্যদিকে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু জানান দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে চার্জ ফ্রেম করা হবে। এই মামলায় বিভিন্ন সংস্থার নাম উঠে এসেছে। সেই মামলাগুলো পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়ন্ত্রণ করতেন। ওই সংস্থাগুলোর ওপর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রভাব যথেষ্ঠ রয়েছে। এদিন ইডির তরফে অভিযোগ করা হয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য প্রায় পঞ্চাশ হাজার গরিব ছাত্র-ছাত্রী যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও চাকরি পাননি। দীর্ঘ সময় ধরে এই জামিনের শুনানি চললেও তার রায় দেওয়া হয়নি। এদিন মামলা স্থগিত হয়ে যায়।