এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে ফের রোগী হয়রানির ছবি উঠে এল। গুরুতর আহত এক ফুড ডেলিভারি কর্মীকে দীর্ঘক্ষণ ট্রলিতে (SSKM) ফেলে রাখার অভিযোগ তুলেছেন তাঁর পরিবার। সময়মতো চিকিৎসা শুরু না হওয়ার ফলে ওই রোগীর (SSKM) বাঁ পা হাঁটুর নীচ থেকে কেটে বাদ দিতে হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
শ্যামনগরের বাসিন্দা ৩৮ বছর বয়সি অবিনাশ মাঝি মঙ্গলবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে বাইকে খাবার ডেলিভারি করতে গিয়ে লরির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। তাঁকে প্রথমে বারাকপুরের বিএন বোস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখান থেকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর দুটি বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে অবশেষে আর জি কর হাসপাতালে পৌঁছন আহত অবিনাশ।
আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসকরা জানান, তাঁর বাঁ পা কেটে বাদ দিতে হবে। পরিবারের আর্থিক সামর্থ্যের বাইরে হওয়ায় তাঁরা বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও খরচ বহন করতে না পেরে রাতভর চেষ্টার পর ভোর ৪টায় এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছন।
পরিবারের দাবি, ভোর ৪টায় হাসপাতালে পৌঁছানোর পর প্রাথমিক চিকিৎসা হলেও রোগীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রলিতে ফেলে রাখা হয়। রক্তক্ষরণ অব্যাহত থাকলেও তাঁকে ভর্তি করা হয়নি। সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন যে রোগীর বাঁ পা হাঁটুর নীচ থেকে কেটে বাদ দিতে হবে। অবিনাশের মা বলেন, “যদি আমার ছেলেকে সঠিক সময়ে চিকিৎসা দেওয়া হতো, তাহলে হয়তো পা বাঁচানো যেত। এখন তার জীবনটাই শেষ হয়ে গেল।”
পরিবারের অভিযোগ নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এই ঘটনায় এসএসকেএম হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসা প্রক্রিয়ার ঢিলেমি ও রোগী হয়রানির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সময়মতো চিকিৎসা পেলে গুরুতর ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হতো বলে দাবি করছে রোগীর পরিবার। হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও কর্তৃপক্ষ এখনও নীরব।