দেহ ব্যবসার জন্য নাবালিকাকে অপহরণ করে টানা তিন দিন ধরে লাগাতার ধর্ষণ (Physical Harassment) করল দু্কৃতীরা। এই নৃশংস ঘটনা (Physical Harassment) মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে (Physical Harassment) ৩ মহিলাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে বড় কোনও চক্র (Physical Harassment) যুক্ত কি না, সেই বিষয়ে বহরমপুর থানার পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত করতে শুরু করেছে।
ঘটনাস্থল বহরমপুর থানা এলাকার বলরামপুরের। পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, ১৫ বছরের এক নাবালিকাকে কাজ দেওয়ার নাম করে ডেকে পাঠায় নাবালিকার পরিবারের পরিচিত এক মহিলা। এরপর নাবালিকাকে বাড়িতে আটকে রেখে দেহব্যবসায় যোগ দেওয়ার জন্য লাগাতার চাপ দিতে থাকে মহিলাটি। কিন্তু নাবালিকা প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক যুবক লাগাতার ধর্ষণ করে নাবালিকাকে। এই কথা কোনও রকমে বাড়ির লোককে জানায় নাবালিকা। বহরমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগের পরেই বহরমপুর থানায় পুলিশ এক যুবক, এক মহিলা ও এক নাবালিকাকে গ্রেফতার করে।
এই ঘটনার সঙ্গে কোনও চক্র জড়িত কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। জানা গিয়েছে, নাবালিকাকে ভিন রাজ্যে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল। সেখান থেকে ধৃতদের মোটা টাকা পাওয়ার কথা ছিল। তাই এই কাজে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল তারা। এর আগে কতজনের সঙ্গে তারা এই কাজ করেছে ও সেই সব তরুণীরা কোথায় রয়েছেন তাও খতিয়ে দেখতে চাইছে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ।
অন্যদিকে, সম্প্রতি জয়নগরে এক নয় বছরের বালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৬১ দিনের মধ্যে সাজার ঘোষণা করা হয়েছে। ৫ অক্টোবর জয়নগরের কুলতলি এলাকায় এক নয় বছরের বালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ আনা হয়। পুলিশ অভিযুক্তে গ্রেফতার করে। এক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও নাবালিকার বাড়ির লোক প্রশ্ন তুলেছিল। কুলতলির পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল। পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ খুঁজে পায়। বারুইপুর পসকো আদালত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করে।