অটল বিহারী বাজপেয়ীর ১০১তম জন্মবার্ষিকীতে আজ লখনউতে ‘রাষ্ট্র প্রেরণা স্থল’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

আজ ভারতরত্ন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর ১০১ তম জন্মবার্ষিকী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ লখনউতে রাষ্ট্রীয় প্রেরণা স্থল উদ্বোধন করবেন। রাষ্ট্রীয় প্রেরণা স্থলটি প্রায় ২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বিশাল ৬৫ একর জমিতে তৈরি করা হয়েছে। এই কমপ্লেক্সটি ডঃ শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় এবং অটল বিহারী বাজপেয়ীর জীবন ও আদর্শের প্রতি নিবেদিত। দেশ গঠনে তাদের অবদানের প্রতীক হিসেবে এখানে এই তিন নেতার পঁয়ষট্টি ফুট উঁচু ব্রোঞ্জ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে।

লখনউ এক নতুন যুগের সূচনার সাক্ষী হবে

এই কমপ্লেক্সটিকে একটি জাতীয় সম্পদ হিসেবে কল্পনা করা হচ্ছে যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নেতৃত্ব, সেবা এবং সাংস্কৃতিক চেতনায় অনুপ্রাণিত করবে। এই বিশাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ২০০,০০০-এরও বেশি মানুষ উপস্থিত থাকবেন, যেখানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে লখনউ একটি নতুন যুগের সূচনা প্রত্যক্ষ করবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী দুপুর ২:৩০ টায় বিশাল স্মৃতিস্তম্ভটি উদ্বোধন করবেন এবং একটি জনসমাবেশে ভাষণ দেবেন।

রাষ্ট্রীয় প্রেরণা স্থলের বিশেষত্ব

১. ৬৫ একর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই কমপ্লেক্সটি ২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে।

২. এই কমপ্লেক্সে শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় এবং ভারতরত্ন বাজপেয়ীর ৬৫ ফুট উঁচু ব্রোঞ্জ মূর্তি রয়েছে, যা ভারতের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা, জাতি গঠন এবং জনজীবনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের প্রতীক।

৩. এখানে পদ্ম আকৃতির কাঠামোতে নির্মিত একটি অত্যাধুনিক জাদুঘরও রয়েছে, যা প্রায় ৯৮,০০০ বর্গফুট জুড়ে বিস্তৃত।

প্রধানমন্ত্রী মোদী কী বললেন?

প্রধানমন্ত্রী তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ পোস্ট করে এই তথ্য শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, “আমাদের সরকার জাতির মহান ব্যক্তিত্বদের উত্তরাধিকারকে সম্মান জানাতে এবং সংরক্ষণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রসঙ্গে, আগামীকাল দুপুর আড়াইটার দিকে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন, শ্রদ্ধেয় অটল বিহারী বাজপেয়ীর ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে লখনউতে ‘রাষ্ট্র প্রেরণা স্থল’ উদ্বোধন করার সৌভাগ্য আমার হবে।”

তিনি আরও লিখেছেন, “বাজপেয়ীজির পাশাপাশি, ডঃ শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি এবং পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়জির দুর্দান্ত ব্রোঞ্জ মূর্তিও এখানে স্থাপন করা হয়েছে। একটি অত্যাধুনিক জাদুঘরও তৈরি করা হয়েছে, যেখানে জাতি গঠনে এই দূরদর্শী নেতাদের অমূল্য অবদান সম্পর্কে জানার সুযোগ থাকবে।”