দু ‘দিনের সফরে জম্মু ও কাশ্মীরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। ২১ শে জুন, প্রধানমন্ত্রী মোদি অন্যান্য কিছু অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দশম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের মূল অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটিই মোদির প্রথম জম্মু ও কাশ্মীর সফর। সাম্প্রতিক অতীতে এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কিছু সন্ত্রাসবাদী ঘটনা ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী ২০ শে জুন সন্ধ্যা ৬ টার দিকে শ্রীনগরে শের-ই-কাশ্মীর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (এসকেআইসিসি) যুব ক্ষমতায়ন, জম্মু ও কাশ্মীরের রূপান্তর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।” এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী স্টলগুলি পরিদর্শন করবেন এবং জম্মু ও কাশ্মীরের ‘ইয়ং অ্যাচিভার্স’-দের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের আগে জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কাশ্মীর জোনের আইজিপি বিধি কুমার বির্দি সংবাদ সংস্থাকে বলেন, এটি একটি বহুস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুযায়ী, এখানে উচ্চ সতর্কতার নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর আগে, শ্রীনগর পুলিশ ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার চালানোর জন্য শহরটিকে ‘অস্থায়ী রেড জোন’ হিসাবে ঘোষণা করে। পুলিশ জানিয়েছে, ড্রোন বিধি, ২০২১-এর প্রাসঙ্গিক বিধান অনুযায়ী রেড জোনে সমস্ত অননুমোদিত ড্রোন অপারেশন শাস্তিযোগ্য।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৫০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ৮৪টি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। উদ্বোধন করা প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে সড়ক পরিকাঠামো, জল সরবরাহ প্রকল্প এবং উচ্চশিক্ষার পরিকাঠামো ইত্যাদি। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী চেনানি-পাটনিটোপ-নাশরি অংশের উন্নয়ন, শিল্প এস্টেটের উন্নয়ন এবং ছয়টি সরকারি ডিগ্রি কলেজ নির্মাণের মতো প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। প্রধানমন্ত্রী ১৮০০ কোটি টাকার কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক উন্নতি (জেকেসিআইপি) প্রকল্পেরও সূচনা করবেন। জম্মু ও কাশ্মীরের ২০টি জেলার ৯০টি ব্লকে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২১শে জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে সকাল ৬.৩০ টায় শ্রীনগরে মূল অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেবেন। এই বছরের অনুষ্ঠানটি তরুণদের মন ও দেহে যোগের গভীর প্রভাব তুলে ধরেছে। এই উৎসবের উদ্দেশ্য হল হাজার হাজার মানুষকে যোগব্যায়াম অনুশীলনে একত্রিত করা, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ও সুস্থতার প্রচার করা। প্রধানমন্ত্রী ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর যোগ দিবস উদযাপনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি দিল্লি, চণ্ডীগড়, দেরাদুন, রাঁচি, লখনউ, মহীশূর এবং এমনকি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতর সহ বিভিন্ন আইকনিক স্থানে যোগ দিবস উদযাপনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই বছরের যোগ দিবসের থিম হল ‘নিজের ও সমাজের জন্য যোগ’ এবং ব্যক্তিগত ও সামাজিক সুস্থতার প্রচারে এটি যে দ্বৈত ভূমিকা পালন করে তা তুলে ধরে।