এলাকায় বিক্ষোভ এবং জনরোষের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়েছিল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে। গ্রামবাসীদের পালটা ক্ষোভ গিয়ে পড়ল পুলিশের উপরেই (Police Attacked)। ভাঙচুর করা হলো পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি। মারধর করা হল পুলিশকে। ঘটনায় এক সিভিক ভলেন্টিয়ার গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন বলে খবর।
পুলিশকে খবর দেওয়া হলেও দেরিতে এসেছে পুলিশ, এই অভিযোগ তুলে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশের ওপর হামলা চালাল গ্রামবাসীরা। পুলিশের পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ইটের আঘাতে জখম হন এক সিভিক ভলেন্টিয়ার ও কয়েকজন পুলিশকর্মী (Police Attacked)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছয়। কিন্তু ওই যুবক যুবতীদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি এখনও। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ ।
কোথাও চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুন, কোথাও ছেলেধরা সন্দেহে বেধড়ক মার। দিকে দিকে অত্যাচারের ছবি দেখে সিউড়ে উঠছে বাংলা।
ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গভীর আঘাত রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, এই ঘটনার পরেই আসানসোল উত্তর থানা থেকে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিন্তু গ্রামবাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকে। গ্রামবাসীদের ইটের ঘায়ে পুলিশের অন্ততপক্ষে চার থেকে পাঁচটি গাড়ির কাচ ভেঙেছে ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনার পরেই নামানো হয় কমবাট ফোর্স, প্রচুর পরিমাণে পুলিশ বাহিনী গিয়ে ওই এলাকা ঘিরে ফেলে। যদিও রাত পর্যন্ত গ্রামের বাইরেই ছিল পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের ডিসি (সেন্ট্রাল) ধ্রুব দাস, এসিপি (সেন্ট্রাল) বিশ্বজিৎ নস্কর-সহ আসানসোল উত্তর এবং দক্ষিণ থানার পুলিশ আধিকারিকরা।