আরজি কর মেডিকেল(Rg kar medical college) কলেজের চিকিৎসকের উপর কী পরিমাণ নারকীয় অত্যাচার চালানো হয়েছিল, তা স্পষ্ট ধরা পড়ল ময়নাতদন্ত রিপোর্টে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল আগেই জানিয়েছিলেন, গোটা ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়ার ভিডিও গ্রাফি করা হয়েছে। সেই ভিডিগ্রাফারের নামও রয়েছে রিপোর্টে। বিস্তারিত রিপোর্টের উপসংহারে পরিষ্কার বলা হয়েছে, শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে চিকিৎসককে তা ছাড়া জোর করে তাঁর যৌনাঙ্গে কিছু ঢোকানো হয়েছিল, যা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল।
বিস্তারিত পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, চিকিৎসকের এন্ডোসার্ভাইকাল ক্যানেলে গাঢ় সাদা তরল পাওয়া গিয়েছে, চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে বলা যেতে পারে, হোয়াইট থিক ভিসিড লিক্যুইড। যার ওজন হতে পারে ১৫১ গ্রাম। নিহত চিকিৎসক ছাত্রীর মরদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর সারা শরীরে অনেকগুলি ছোট বড় ক্ষত ছিল। সব মিলিয়ে তার সংখ্যা ১৬টি। যেমন মাথায়, গালে, নাকে, ঠোঁটের ভিতরে, বাম কাঁধে ও হাতে, বাম হাঁটুতে, এবং যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন দেখা গিয়েছে। এই সব ক্ষতচিহ্নগুলোর কোনওটি ০.৩ X ০.১ ইঞ্চি মাপের তো কোনওটি ০.২ X ০.১ ইঞ্চি মাপের। বাম কাঁধের উপর ২ ইঞ্চি x ২ ইঞ্চি মাপের ক্ষত দেখা গিয়েছে। তা ছাড়া মৃত চিকিৎসরের দুই ফুসফুসে হেমারেজ অর্থাৎ রক্ত জমাট অবস্খায় পাওয়া গিয়েছে।
গত শুক্রবার তথা ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চার তলার সেমিনার হলে তরুণী চিকিৎসকের মরদেহ মিলেছিল। সেদিনই তাঁর মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। পরিবার ও চিকিৎসকদের দাবি মতো একজন বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল। সেই তদন্তেরই রিপোর্ট এখন পাওয়া গিয়েছে।