নিউজ ডেস্ক: অন্য ক্ষেত্রের কোনও বিষয়ে কথা বলার আগে সচিন তেন্ডুলকরকে ‘সাবধানতা অবলম্বন’-এর পরামর্শ দিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার।
পপ তারকা রিহানা দিল্লির কৃষক আন্দোলন নিয়ে টুইট করার পর ভারতের সেলিব্রিটিদের মধ্যে ‘জাতীয় ঐক্য’ তুলে ধরে অন্যদের ‘নাক গলানো’ ঠেকানোর বার্তা দেওয়ার ধুম পড়ে যায়। সেই তালিকায় একেবারে অগ্রণী ভূমিকা নেন ‘ক্রিকেটের ঈশ্বর’ সচিন।
কোনওদিন কোনও বিতর্ক না-জড়ানো, অন্যতম পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির এই তারকাকে বিঁধে পাল্টা বার্তার জোয়ার শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগন, বিরাট কোহলি থেকে শুরু করে আরও অনেকে এ প্রসঙ্গে টুইট করলেও সবচেয়ে বেশি চর্চা হয় সচিনকে নিয়েই।
তার কয়েকদিন বাদে শনিবার পাওয়ার এ নিয়ে বলেন, ‘ওঁদের (ভারতীয় সেলিব্রিটি) অবস্থান নিয়ে অনেকেই খুব কড়া ভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সচিনের উদ্দেশে আমার পরামর্শ হলো — অন্য ক্ষেত্রের কোনও বিষয়ে কথা বলার আগে সাবধানতা অবলম্বন করুন।’
আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন সময়ে খালিস্তানি বা সন্ত্রাসবাদী বলে তোপ দেগেছে কেন্দ্র। তারও বিরোধিতা করেছেন ইউপিএ জমানার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শরদ। স্বাভাবিক ভাবেই এ নিয়ে চুপ থাকেনি বিজেপি। পাওয়ারকে বিঁধে বিজেপির সাংসদ মীনাক্ষী লেখির টুইট — খুব ইচ্ছে হচ্ছে, উনি মিয়া খলিফা, রিহানা এবং গ্রেটা থুনবার্গকেও পরামর্শ দিন! ভাবছিলাম, কেন সব জেনেও কিছু বলছেন না। কারণ উনি কৃষিমন্ত্রী ছিলেন, এপিএমসি নিয়ে কাজ করেছেন। সংস্কারের পক্ষে চিঠিও লিখেছেন…
গত ডিসেম্বরে পাওয়ারের একটি পুরোনো চিঠি নিয়ে হইচই শুরু করে বিজেপি। কৃষিমন্ত্রী থাকাকালীন প্রবীণ রাজনীতিকের লেখা ওই চিঠিতে কৃষিক্ষেত্রে বেসরকারি অংশগ্রহণ ঘটিয়ে সংস্কারের কথা লেখা ছিল। সেই পত্র সামনে এনে পাওয়ারের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তোলে বিজেপি। এ জন্য ব্যাখ্যা দিতে এক প্রকার বাধ্য হন এনসিপি সুপ্রিমো। সম্প্রতি আবার কৃষি আইনের সমালোচনা করে পাওয়ারের টুইট ঘিরে তাঁর সঙ্গে জোরদার বচসা হয় বর্তমান কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের।